বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত : কারা কর্তৃপক্ষ

434

ঢাকা, ১১ এপ্রিল ২০২০ (বাসস) : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর এখন সময়ের ব্যাপার।
রায় কার্যকরে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে বাসস’কে জানান, আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশা।
ইতোমধ্যে ফাঁসির মঞ্চে আলো জ্বালানো হয়েছে। কেরাণীগঞ্জে স্থাপিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যে কোনো সময় মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
আইজি প্রিজন বলেন, প্রধান জল্লাদসহ তার অন্যান্য সহযোগী জল্লাদগণ প্রস্তুত রয়েছেন। কারা বিধি অনুযায়ী মৃত্যুদন্ড কার্যকরে যে সকল কর্মকর্তাগণ থাকেন তারাও উপস্থিত হচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছেন – আইজি প্রিজন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ( ঢাকার ডিসি), জেলার পুলিশ সুপার, জেলার সিভিল সার্জন, জেল সুপার এবং জলার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাঁসি কার্যকর এখন সময়ের ব্যাপার।
এর আগে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি খুনি বজলুল হুদা, আর্টিলারি মুহিউদ্দিন, সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহারিয়ার রশিদ খান ও ল্যান্সার মহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি আব্দুল মাজেদের সঙ্গে তার স্ত্রীসহ পাঁচ স্বজন গতকাল সন্ধ্যায় কারাগারে দেখা করেছেন। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামান মাজেদের পরিবারের সদস্যরা কারাগারে এসে তার সঙ্গে দেখা করে গেছেন বলে বাসস’কে নিশ্চিত করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বহিষ্কৃত) আব্দুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার এ আবেদন করেন মাজেদ। কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে বঙ্গভবনে পৌঁছায়। গত মঙ্গলবার আদালত কর্তৃক মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছানোর পর তা মাজেদকে পড়ে শুনানো হয়। এর পর পরই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেন মাজেদ। অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত সোমবার দিবাগত রাতে মৃত্যুদন্ড নিয়ে প্রায় দুইযুগ পলাতক থাকার পর মাজেদকে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম বর্বরোচিত ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তখন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন এই মাজেদ। তখন তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন জুনিয়র কর্মকর্তা।