বাধ্যতামূলক বিশ্রামকে ভালোই মনে করছেন শাস্ত্রি

181

নয়া দিল্লি, ২৯ মার্চ ২০২০ (বাসস) : করোনাভাইরাসের কারনে থমকে আছে পুরো বিশ্ব। থমকে গেছে ক্রীড়াঙ্গনও। আন্তর্জাতিক-ঘরোয়া সকল সিরিজ-টুর্নামেন্ট স্থগিত। খেলাধুলা না থাকায় পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন খেলোয়াড়রা। সেই সাথে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগও হয়েছে তাদের। তবে এই বাধ্যতামূলক বিশ্রামকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ রবি শাস্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারনে গোটা দেশ গৃহবন্দি। তাই এই সময়টাই নিজেদের নতুন করে সতেজ করে তোলার সুযোগ পেল খেলোয়াড়রা।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ১০-১১ দিন বিশ্রামে থাকার সুযোগ পেয়েছিলো ভারতীয় ক্রিকেটাররা। দীর্ঘদিন পর আবারো বিশ্রামে সুযোগ হলো খেলোয়াড়দের। করোনাভাইরাসের কারনে বাধ্য হয়েই গৃহবন্দি সকলে। এই ভাইরাসের কারনে ভারতজুড়ে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। শাস্ত্রী বলেন, ‘এই বিশ্রাম খারাপ নয়। কারণ নিউজিল্যান্ড সফরের শেষের দিকে মানসিক অবসন্নতা, শারীরিক সমস্যা এবং চোটের প্রবনতা বাড়ছিলো।’
ইংল্যান্ডের দুই সাবেক অধিনায়ক মাইকেল আরথারট-নাসের হুসেন এবং রব কিকে এর সাথে তিনি স্কাই স্পোর্টস পডকাস্টে এ কথাগুলো বলছিলেন শাস্ত্রী।
শাস্ত্রীর মতে, ক্রিকেটাররা এই সময়ে নতুন করে নিজেদের উদ্দ্যম ফিরে পাবেন। বিশেষত নিউজিল্যান্ড সফরে টানা খেলতে হয় ভারতকে। ঐ সফরে পাঁচটি টি-২০, তিনটি ওয়ানডে এবং দু’টি টেস্ট খেলে ভারত।
শাস্ত্রী বলেন, ‘গত দশ মাসে আমরা যে পরিমাণ ক্রিকেট খেলেছি, তা শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করেছিল। আমি এবং সাপোর্ট স্টাফের কয়েকজন ও আমরা ২৩ মে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপের জন্য ভারত ছেড়েছিলাম। এরপর থেকে আমরা বাড়িতে ১০-১১ দিনের জন্য থাকতে পেরেছিলাম। কিছু নির্দিষ্ট খেলোয়াড় রয়েছে যারা তিন ফরম্যাটেই খেলেন। তাই আপনি বুঝতেই পারছেন যে এটি তাদের উপর কতটা চাপ তৈরি করে। বিশেষত, মাঠ থেকে টি-২০, টেস্ট ম্যাচ ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং সাথে ভ্রমন সবই ছিলো।’
বিশ্বকাপের পরে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যায় ভারত। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোম সিরিজ এবং নিউজিল্যান্ড সফর কওে ভারত। শাস্ত্রী বলেন, ‘কঠিন সময় ছিল তবে খেলোয়াড়দের জন্য এটি স্বাগত বিশ্রাম।’
করোনাভাইরাস নিয়ে খেলোয়াড়রা সচেতন বলে জানান শাস্ত্রী, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আপনার অনেক দায়বদ্ধতা রয়েছে। এ কারনে এই বার্তাটি পরিস্কার যে, ক্রিকেট এখন সবার মনের মধ্যে শেষ হওয়া উচিত। আমার মনে হয়, নিরাপদে থাকাটা এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি। পাশাপাশি অন্যের সুরক্ষাও নিশ্চিত করা। সকলের মধ্যে সচেনতা সৃষ্টি করা। বিরাট কোহলিরসহ অনেক খেলোয়াড়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেনতামূলক বার্তা দিয়েছে। তারা জানে, এটি খুবই মারাত্মক কিছু এবং কিছু সময়ের জন্য ক্রিকেট ধরে রাখতে পারে।’