সোনার বাংলা গড়তে হলে নৌকায় ভোট দিন : প্রধানমন্ত্রী

824

ঠাকুরগাঁও, ২৯ মার্চ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে নৌকায় ভোট দেয়ার দেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দেন, আপনাদের সোনার বাংলাদেশ উপহার দেবো।’
শেখ হাসিনা আজ বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুলের বড় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন চায় আর বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানেই দেশ ধ্বংস হওয়া, সন্ত্রাস, দুর্নীতি লুটপাট করা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা মানুষ শান্তিতে খেয়ে-পড়ে বসবাস করবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আমাদের দায়িত্ব স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক ঘরে পৌঁছে দেওয়া। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের জীবনকে সুন্দরভাবে আমরা গড়ে তুলতে চাই।
সরকার প্রধান বলেন, সেই জন্যই আমার আপনাদের কাছে আবেদন থাকবে- আমরা যেহেতু ২০০৮-এর সরকারের এসেছি, ২০১৪তে পুনরায় সরকারে এসেছি- সরকারের ধারবাহিকতা রয়েছে বলেই আজকে উন্নয়নের ছোঁয়া প্রতিটি এলাকায়- গ্রামে গ্রামে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য নৌকা মার্কায় আমি আপনাদের কাছে ভোট চাই। কারণ, নৌকা মার্কাই দেবে উন্নতি, নৌকা মার্কাই দেবে আপনাদের শান্তি, নৌকা মার্কাই করবে আপনাদের জীবনমান উন্নত।’
তিনি বলেন, আপনারা গত নির্বাচনে এখানকার তিনটি আসনেই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন- আগামীতে ২০১৮’র ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর অন্যান্য প্রাক নির্বাচনী জনসভার মতে নৌকায় ভোট দানের জন্য জনগণের ওয়াদা প্রত্যাশা করলে উপস্থিত জনতা সমস্বরে চিৎকার করে এবং দুহাত তুলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নৌকায় ভোটদানে প্রতিশ্রতিবদ্ধ হন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ সেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এম এম মোজাম্মেল এবং নুরুল ইসলাম সুজন জনসভায় বক্তৃতা করেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলাম এমপি জনসভায় সভাপতিত্ব করেন এবং জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ আপেল অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সমাবেশস্থলের পাশে থাকা বেদী থেকে ঠাকুরগাঁওবাসীর জন্য ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৩৩টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।