পণ্য বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার : তোফায়েল

795

ঢাকা, ২৯ মার্চ, ২০১৮ (বাসস) : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের পণ্য বাজারে কেউ যাতে কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।
এককভাবে কেউই পণ্য-বাজারে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক বাজার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পণ্য-বাজারগুলোতে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করণ : বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন নবগঠিত ‘বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন’ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে ব্যবসা-বাণিজ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরেকার ২০১২ সালে প্রতিযোগিতা আইন পাস করেছে। বাজারে যাতে অসম বিপণন ব্যবস্থার সৃষ্টি না হয় বা ভোক্তার স্বার্থ পরিপন্থী কিছু না ঘটে, সেলক্ষ্যে এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন এ কমিশনকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
তিনি বলেন,ব্যবসা-বান্ধব বর্তমান সরকারের আমলে ব্যবসায়ীদের সবধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সাথে ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতেও কাজ করছে।
প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন মো. ইকবাল খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু ও এফবিসিসিআই’র সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডীন ড. শিবলী রুবায়েত উল ইসলাম। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিআইডিএস’র সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ, উন্নয়ন সমন্বয়’র এমিরেটস ফেলো ড. এনামূল হক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবীদ ড. ফয়সল আহমেদ।
উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতা আইন বাংলাদেশের জন্য নতুন হলেও ১৮৮৯ সালে প্রথম কানাডায়, ১৮৯০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং ১৯৪৭ সালে জাপানে প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত আইন প্রণীত হয়। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বিশে^র মাত্র ১০টি দেশে এ আইন প্রচলিত ছিল। ২০১৭ সালে এ আইন বিশে^র ১৩০টি দেশে চালু হয়। এখন এশিয়ার ১৭টি দেশে প্রতিযোগিতা আইন চালু আছে।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকার বারডেম মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদকে স্বাধীনতা পদক-২০১৮ প্রাপ্তিতে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অন্যান্যের মধ্যে বারডেম শাখার বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মীর নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহা-সচিব ও সাবেক সচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, বারডেম’র বোর্ড অফ ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান ডা. সারওয়ার আলী, বারডেমের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমূন নাহার এবং চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. পূরবী রানী দেবনাথ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।