ফেনী জেলা পরিষদ ১ হাজার ৭শ ১৩ জনকে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়েছে

545

ফেনী, ২ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : বেকার নারী ও যুবকদের স্বনির্ভর ও দক্ষ জনশক্তি তৈরীর লক্ষ্যে ১ হাজার ৭শ ১৩ জনকে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়েছে ফেনী জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত বিশেষ উদ্যোগ ‘বিনিয়োগ বিকাশ’ অর্জনে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, ২০১২ সালে প্রশিক্ষণ প্রকল্পটি গৃহিত হয়েছে, এটি একটি চলমান প্রকল্প।
জেলা পরিষদের কারিগরি শাখা সূত্রে জানা যায়, আত্মকর্মসংস্থান ও জীবন যাত্রার মানোন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠান। এ প্রকল্পে পুরুষের জন্য রয়েছে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এবং নারীদের জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।
সূত্র জানায়, ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ৪৪টি ব্যাচে ১ হাজার ৮৪ জন পুরুষ প্রশিক্ষণ পেয়েছে। সেলাই প্রশিক্ষণে ৩৯টি ব্যাচে ৬শ ২৯ জন নারী প্রশিক্ষণ পেয়েছে।
প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, প্রকল্পটি ফেনী জেলা পরিষদের নিজস্ব প্রকল্প যা রাজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।
চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ বিনিয়োগ বিকাশ অর্জনে উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ফেনী জেলা পরিষদের এটি একটি চলমান প্রকল্প। তিনি বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কর্মসূচিটি কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। বেকার নারী পুরুষ নিজেদের দক্ষ জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলছে।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু দাউদ মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, জেলা পরিষদ বর্তমানে দুই মাসের কোর্সের ভিত্তিতে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। মূলত বেকার যুবক ও নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে পরিচালিত প্রকল্পটি চলছে।
তিনি বলেন, উদ্যোক্তা তৈরী করা আমাদের মূল লক্ষ্য। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি যেন উদ্যোক্তা হয়ে অন্যের কর্মসংস্থান করতে পারে, এটিই আমাদের উদ্দেশ্য।
কারিগরি শাখার উচ্চমান সহকারি জাহেদা খাতুন জানান, ২০১২ সালে ১০জন করে উভয় প্রশিক্ষণে একটি শিফট চালু হলেও বর্তমানে দুই শিফট এ ৮০ জনের প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের একজন সোনাগাজী উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আবদুল করিমের মেয়ে বিধবা রাবেয়া আক্তার। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ নিয়ে আমি এখন ব্যবসা করছি। ব্যবসার জন্য জেলা পরিষদ আমাকে ১০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছে।
সেলাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়িয়া গ্রামের মৃত মুজিবুল হকের স্ত্রী মমতাজ বেগম বলেন, জেলা পরিষদের ১ম ব্যাচের সেলাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই আমি সেলাই মেশিন চালানো, কাপড় কাটিং, একটি সুন্দর জামা সেলাইয়ের জন্য সব পদ্ধতি শিখেছি। বর্তমানে আমি একটা দোকানে কাপড় কাটিং করাসহ আমার বাসায় অর্ডার নিয়ে কাজ করে আসছি। স্বামী মৃত্যুর পর সেলাইয়ের মাধ্যমেই আমার পরিবার পরিচালনা করছি।
কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের জোয়ারকাছা গ্রামের আবুল খায়ের রুবেল বলেন, আমি জেলা পরিষদের
কম্পিউটার বেসিক কোর্সে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। এটা আমার ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে আশা করছি।