জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও দৃষ্টি আকর্ষণ করাটাই সন্ত্রাসবাদীদের কাছে মুখ্য : মনিরুল ইসলাম

286

ঢাকা, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস): ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও দৃষ্টি আকর্ষণ করাটাই সন্ত্রাসবাদীদের কাছে মুখ্য। তারা মিডিয়া কভারেজকে টার্গেট করে আক্রমণের চেষ্টা করে থাকে। এক্ষেত্রে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমনে মিডিয়ার সহযোগিতা পুলিশের জরুরি।
তিনি আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘উগ্রবাদ রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
মিডিয়া প্রচার পাওয়া নিয়ে অতীতের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সম্পর্কে মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০০৫ সালে তাদের উপস্থিতি মানুষের মধ্যে জানান দিতে দেশের ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল। কয়েকটি কারণে তারা মিডিয়ার প্রয়োজন মনে করে। এর মধ্যে রয়েছে দায় স্বীকার, জনগণকে তাদের অস্তিত্ব জানানো, আতঙ্কিত করা ও ত্রাস সৃষ্টি করে তাদের মেসেজ পৌঁছে দেয়া।
তিনি বলেন, প্রচারের মাধ্যমে তাদের সাপোর্টারদের কাছে মেসেজ পৌঁছে দেওয়া ও পটেনশিয়াল সাপোর্টারদের দলে ভেড়ানোর কাজ করছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, তারা টার্গেট হিসেবে সিম্বলিক ও আইকনিক টার্গেটকে বেছে নেয়। এক্ষেত্রে তারা নারীদেরও ব্যবহার করে থাকে।
তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসবাদীরা যেভাবে প্রচার চায় সেভাবে প্রচার না পেলে মিডিয়ার বিপক্ষে চলে যায়। এক্ষেত্রে তারা সংবাদকর্মীদেরও টার্গেট করে থাকে। আমরা মিডিয়ার ভূমিকাকে অনেক বড় করে দেখি। আমরা মানুষকে সতর্ক বা সচেতন করতে মিডিয়ার সহযোগিতা নিয়ে থাকি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীদের মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করা যাতে কেউ উৎসাহিত না হয়, যেকোন সন্ত্রাসী দমন অভিযান লাইভ টেলিকাস্ট না করা এবং সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে জনমত গঠন করা।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার নীতি নির্ধারক ব্যক্তিবর্গ।
সভায় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন এটিএন বাংলার সিইই জ ই মামুন, জিটিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবুসহ প্রমুখ।
সভার সঞ্চালনা করেন সিসার্ফ প্রধান শবনম আজিম।