৪৪৮টি ছোট নদী ও খাল পুন:খনন করা হচ্ছে : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

944

সংসদ ভবন, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস): পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, দেশের ৬৪ জেলার ৩৭৫টি উপজেলায় ১ম পর্যায়ে ৪৪৮টি ছোট নদী ও খাল এবং জলাশয় খনন ও পুন:খনন করা হচ্ছে। ২য় পর্যায়ে ১৩ হাজার ৮৮৫ দশমিক ৩৬৩ কিলোমিটার ছোট নদী ও খাল পুন:খনন করা হবে।
আজ সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান।
স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদের জাহিদ ফারুক সংসদকে আরো জানান, ১ম পর্যায়ে দেশের ৩৭৫টি উপজেলা ও ২টি সিটি কর্পোরেশনের ৫৬১টি প্যাকেজের মাধ্যমে ৪ হাজার ৮৬ দশমিক ৬২২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ৮৮টি ছোট নদী ৩৫২টি খাল ও ৮টি জলাশয় পুন:খনন করা হবে।
পানি সম্পদ আইন কার্যকরের লক্ষ্যে সরকারের ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ অর্থাৎ বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান অনুযায়ী স্বল্পমেয়াদী, মধ্য মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে ঢাকার চারপাশে প্রবাহিত বুড়িগঙ্গা শীতলক্ষা তুরাগ,বালু নদী ছাড়াও চট্রগ্রামের কর্ণফুলী নদী দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় নৌ পথ মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি অবৈধ উচ্ছেদ ক্রাশ প্রোগাম পরিচালনা করছে। অবৈধ নদী দখলদারদের কবল থেকে ৬৪ জেলায় এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৭৪টি অবৈধ স্থপনা ও ৫৯৩ একর নদীর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ৯ হাজার ২৯৪টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং নদীর জমি উদ্ধারে ও দেশের নদ-নদীর পানি দূষণরোধে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নৌ চলাচলে সহজ করার মাধ্যমে যাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
সরকারি দলের সদস্য আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় নদী পুন:খননের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পানি সম্পদ আইন ২০১৩ অনুযায়ী লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে ‘জেলা পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটি’র উদ্যোগে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সরকারি দলের সদস্য শামসুন নাহারের অপর এক প্রশ্নের প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, পর্যায়ক্রমে দেশের সকল মৃত প্রায় নদী উদ্ধার কার্যক্রমের অধীনে তুরাগ নদীর দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ ৪০ দশমিক ৭০০ কিলোমিটার নদীর কাজ পুন:খনন করা হচ্ছে।