প্রতিবেশীদের সঙ্গে সংযোগ শক্তিশালী করার ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

455

ঢাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ (বাসস) : প্রতিবেশীর সঙ্গে সংযোগ শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোর আরো উন্নয়নে সংযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের সকল দেশের এবং জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সংযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশীধর মিশ্র আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর জাতীয় সংসদ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি একথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের সঙ্গে সংযোগ বাড়াচ্ছে এবং ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া পথগুলো পুনরায় চালু করছে।
তাঁর সরকারের বিমানবন্দর সমূহের আধুনিকায়ন এবং উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্শ¦বর্তী দেশের জনগণ, যাঁরা বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন স্থানে বসবাস করেন তাঁরা এই সুযোগ নিয়ে বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিদেশে ভ্রমণে যেতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগের রুট উন্মুক্ত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেপাল ও ভুটান বাংলাদেশের সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং একইসঙ্গে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারে। তিনি বলেন, বন্দর দিয়ে আমদানি করা মালামাল সংরক্ষণের জন্য ভুটানকে গুদাম তৈরীর জন্য একটি জায়গা খুঁজে নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান থাকার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় নেপালের সমর্থনের কথা স্মরণ করেন।
নেপাল বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ব্যাপক সংযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় উল্লেখ করে ড. মিশ্র বলেন, ‘মোটর যান চুক্তি এখন বাস্তবায়নের পর্যায়ে রয়েছে।’ তিনি বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বাণিজ্য বিশেষ করে পণ্য বাণিজ্য সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে তাঁর নেতৃত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে নেপালের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আপনি নেপালে অত্যন্ত সম্মানিত। নেপালের জনগণ আপনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে, আমরা আপনার দেশকে অনুসরণ করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ আপনার গতিশীল নেতৃত্বে দ্রুত উন্নতি করছে, যা আমাদের জন্য একটি অনুসরণীয় উদাহরণ।’ ‘বাংলাদেশ ও নেপাল উভয়ই একই সংস্কৃতির অংশীদার উল্লেখ করে নেপালের রাষ্ট্রদূত সেদেশে ভূমিকম্পের সময় বাংলাদেশের সমর্থনকে স্মরণ করে একে ‘মহান সমর্থন’ বলেও অভিহিত করেন।
নেপালের রাষ্ট্রদূত আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠেয় ‘সাগরমাথা (মাউন্টেইন) সংলাপে’ অংশগ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।