বাসস দেশ-২১ : ডুমুরিয়ায় পিএসবির ঋণে ৭৫৯৫ মানুষ স্বাবলম্বী

240

বাসস দেশ-২১
ডুমুরিয়া-পিএসবি-প্রকল্প
ডুমুরিয়ায় পিএসবির ঋণে ৭৫৯৫ মানুষ স্বাবলম্বী
খুলনা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ বিশেষ উদ্যোগের অন্যতম ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের আওতায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক (পিএসবি)’র ১৩৭টি শাখা থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মোট ৭,৫৯৫ জন গ্রামবাসী স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা পিএসবির মহাব্যবস্থাপক কনক চন্দ্র অধিকারী বলেন, পিএসবি দরিদ্র ও অতি দরিদ্র পরিবারকে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে জামানত-বিহীন আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে এবং তাদের ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে একটি চক্রবৃদ্ধি ঋণ প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসছে।
কনক উপজেলার ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের সমন্বয়কও। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পিএসবি গ্রামীণ দরিদ্রদের জামানত-বিহীন ঋণ সরবরাহের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের বিশেষত মহিলা উদ্যোক্তাদের আর্থিক সেবা সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
বর্তমানে ব্যাংকটি উপজেলার ২০১৭ গ্রাম উন্নয়ন সমিতি (ভিডিএ)’র পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রায় ২২.৮০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।
সদস্যরা এ পর্যন্ত প্রায় ৪.৬০ কোটি টাকা জমা রেখেছেন এবং সরকার তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩.৩৬৩ কোটি টাকার উৎসব বোনাস দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ভিডিএ সদস্যদের কাছ থেকে ৬৩ শতাংশ সংগ্রহ করেছি।’
কানক চন্দ্র আরও বলেন, পিএসবি গ্রামীণ মানুষদের স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করতে তাদের জন্য বিপুল সুযোগ তৈরি করছে।
পিএসবি গরু মোটাতাজাকরণ, দুধের গাভী পালন, কৃষি-শিল্প সরঞ্জাম এবং খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি, সবজি ও মশলা উৎপাদন এবং কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র শিল্প, কুটির শিল্প, ফিশারিজ ও
নার্সারি প্রতিষ্ঠার জন্য ঋণ দিয়ে থাকে।
প্রকল্পটির নতুন নাম ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ হওয়ার পর গতিশীল হয়েছে। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
পিএসবি থেকে পরিষেবা পাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ডুমুরিয়া উপজেলার মধুগ্রামের গরু ব্যবসায়ী বিল্লাল ফকির বলেন, তিনি গত বছর ৫০,০০০ টাকা ঋণ নিয়ে তার বাড়ির পাশে সফলভাবে একটি দুগ্ধ খামার স্থাপন করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার আয় আমার পরিবারের সমস্ত খরচ মেটাতে যথেষ্ট ছিল না। তাই আমি আমার ব্যবসার জন্য ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের আওতায় পিএসবি থেকে ঋণ নিই।’
বিল্লাল বলেন, এখন দুগ্ধ খামারের আয় দিয়ে আমি আমার পরিবারের প্রতিদিনের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ও করতে পারছি।
বিল্লালের মতো রুবাঘেরা গ্রামের সোলায়ান গাজী এবং থুকনা গ্রামের আকলিমা বেগম ও রঞ্জিত দাসও পিএসবির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে শাকসব্জি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
বাসস/জেডএইচ/অনুবাদ-এইচএন/২০৩৫/কেকে