সন্দেহজনক লেনদেনে সম্পৃক্ত থাকলে তা অবশ্যই দুদককে জানাতে হবে : দুদক ডিজি

339

ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : বিকাশ এবং রকেটের মাধ্যমে কোনো সরকারি কর্মকর্তা যদি সন্দেহজনক লেনদেনে সম্পৃক্ত থাকেন তা অবশ্যই দুদককে জানাতে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসসমূহের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (মানিলন্ডারিং) আ ন ম আল ফিরোজ।
আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে দুদকের মহাপরিচালক (মানিলন্ডারিং) আ ন ম আল ফিরোজের সাথে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসসমূহের (এমএফএস) নির্বাহীদের এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
দুদক মহাপরিচালক জানান, দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট এক রিপোর্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, একটি সরকারি দপ্তরের এক কর্মকর্তা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে ঘুষের টাকা গ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট দুদকে কোনো সন্দেহজনক লেনদেনের রিপোর্ট (এসটিআর) করেনি। বিষয়টি উদ্বেগজনক ।
দুদক মহাপিরচালক বলেন, গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারের মাধ্যমে এমএফএস একাউন্টের সকল ধরনের ক্যাশ ইন / ক্যাশ আউটের ডিজিটাল মানি রিসিটের বিস্তারিত তথ্য দুদকের অনুসন্ধান বা তদন্তের প্রয়োজনে সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে। একই সার্কুলারের মাধ্যমে এমএফএস সমূহের গ্রাহক এবং লেন-দেনের তথ্য ভান্ডার থেকে দুদককে রিয়েল টাইম তথ্য প্রদানের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে এবং একাধিক একাউন্টের মাধ্যমে অস্বাভাবিক লেনদেনরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়েও পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, এমএফএস প্রতিষ্ঠানসমূহের নিজস্ব ডাটাবেজ থেকে এ্যাপলিকেশন ইন্টারফেস এর মাধ্যমে গ্রাহক লেনদেনের তথ্য দুদকে দিতে হবে। এসব মাধ্যমে যেসব ঘুষের লেনদেন হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণে দুদক আইনি দায়িত্ব পালন করবে। দুদক অর্থের গতিবিধি অনুসরণ করে অপরাধীদের আইন-আমলে নিয়ে আসবে।
সভায় অন্যানের মধ্যে দুদকের মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী, দুদকের ফোকালপয়েন্ট কর্মকর্তা ও সিস্টেম এনালিস্ট রাজীব হাসান, রকেটের এসইভিপি আবেদুর রহমান সিকদার, ডাকবিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ হারুনুর রশীদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।