বাংলাদেশকে একটি মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন : তথ্যমন্ত্রী

634

সংসদ ভবন, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত জাতি গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে কাজ করছেন।
আজ জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আজ অনেক সূচকে পাকিস্তান ও ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি না করলে বাংলাদেশ একটি উন্নত জাতি হিসেবে অনেক দূর এগিয়ে যেতো এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ আরো বেশি কল্যাণ ও সুফল ভোগ করতো।
তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, উপমহাদেশের প্রেক্ষপটে এই নির্বাচন একটি চমৎকার নির্বাচনের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। অতিসম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত একটি নির্বাচনে সরকারি দল বিজেপির একজন প্রার্থীকে বিরোধী দলের সমর্থকরা ঘরবন্দী করে রেখেছিল। এই হাঙ্গামায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
তিনি বলেন, অনেকে বলছেন ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে গেছে। এটা মোটেও ঠিক নয়। বিএনপি ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ৮শ’ প্রার্থী দিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচনী কেন্দ্র হিসেবে স্থাপিত ৫শ’টি স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছিল। বহু মানুষ হত্যা করেছিল। তখন ছাত্ররা নতুন বই হাতে নিয়ে কান্না করেছিল। বিএনপির কারণেই সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে শংকিত হওয়ায় ভোটারের উপস্থিতি কম হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ড. হাছান মাহমুদ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ১০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজিব ওয়াজেব জয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশ আইসিটি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। আগামী দিনে এই খাতের আয় দেশের প্রধান রপ্তানি খাত পোশাক শিল্পকেও ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গত ১১ বছরে দেশে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশে আজ গড় আয়ু বেড়ে ৭৪ বছর হয়েছে। গড় আয়ু পাকিস্তানে ৬৮ বছর আর ভারতের ৬৯ বছর। বাংলাদেশের দরিদ্র্যতা হ্রাস পেয়েছে। মাথা পিছু আয় বেড়ে প্রায় ২ হাজার মার্কিন ডলার হয়েছে। বাংলাদেশে কৃষি জমির পরিমাণ হ্রাস পেলেও সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারনে উৎপাদন অনেক বেড়েছে।
বাংলাদেশ আজ প্রায় শতভাগ স্যানিটেশনে নিশিচত করতে পারলেও পাকিস্তান এবং ভারতে এসব ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। নিরাপদ পানি ও খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিরাট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশে টাকার সাথে মার্কিন ডলারের মূল্য ৮৪ টাকা অথচ পাকিস্তানের টাকার সাথে মার্কিন ডলারের হার হচ্ছে ১৫৩ থেকে ১৫৬টাকা। পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীরা সে দেশের সরকার প্রধান ইমরান খানের এক বক্তব্যের পর বলেছিলেন আগামী দশ বছরে পাকিস্তান যেন হয় বাংলাদেশের মত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ। তারা বলতে বাধ্য হয়েছে ‘আমরা সুইডেন হতে চাই না আমারা বাংলাদেশের কাছাকাছি যেতে চাই’।