বাসস দেশ-২৫
সিইসি-ব্রিফিং
আগামীকাল সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে : সিইসি
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, ঢাকার দুই সিটিতে আগামীকাল সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। কোথাও কোনো অসুবিধা নেই। ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোটে অংশগ্রহণ করবেন।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ সন্ধ্যায় এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘সকালে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি, নির্বাচনের সামগ্রী বিতরণ দেখেছি। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কোনো অসুবিধা নেই। মালামাল পৌঁছে গেছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা বলেছেন কোথাও নির্বাচনের বিষয়ে কোনো রকমের কোনো আশঙ্কা নেই।’
তিনি বলেন, ‘ভোটাররা নির্বিঘেœ অবাধে অংশগ্রহণ করবেন। তাদের কোনো অসুবিধা নেই। প্রচারের সময় যেভাবে প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন, ভোটার সমর্থকরা যেভাবে রাস্তায় নেমে এসেছে, একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সব দল অংশ নিয়েছে। ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হলে পরিবেশ সুন্দর হয়।’
সিইসি বলেন, ‘প্রস্তুতি শেষ। সামগ্রী চেলে গেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাই যার যার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। সব ধরনের বাহিনী নিয়োগ করা রয়েছে। তারা তাদের কাজ পরিচালনা করছে।’
সাংবাদিকদের এক জবাবে নূরুল হুদা বলেন, ‘এজেন্টদের প্রতি প্রথম অনুরোধ, তারা যেন দায়িত্ব নিয়ে থাকেন। কেউ এসে বললো আর বের হয়ে যাবেন, কেউ তাকে রাখবেন না, তখনই বের হয়ে যাবেন, তা যেন না করেন। এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা যদিও নাই, তবু যদি ঘটেও টহলদার বাহিনী থাকবে, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে, তাদের জানাবেন। সুতরাং এটার কোনো সম্ভাবনা নাই।
তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সঙ্গে বৈঠকের সময় এজেন্টদের শেল্টার দিতে বলেছি। যখনই তারা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ঢুকবে, তখনই তাদের দেখভাল করার দায়িত্ব কিন্তু যারা ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব থাকবেন তাদের ।
সিইসি বলেন, ‘এজেন্ট কাউকে না জানিয়ে অনেক সময় বের হয়ে যায়, তখন বলে যে আমাদের এজেন্ট নেই। এমন হলে তো হবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যদি থাকে, যদি না শুনে সঙ্গে সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করবেন। আমাদের পর্যন্ত আসার দরকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের তিন ধরনের ব্যবস্থা আছে। ভোট দেওয়ার পরে কেউ কেন্দ্রে থাকতে পারবে না। জটলা করতে পারবে না। নিষ্প্রয়োজনে বাইরের কোনো লোক যেন কেন্দ্রে না আসে সে বিষয়ে নিরুৎসাহিত করছি। এতেই কাজ হবে।’
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কন্ট্রোল ইউনিট ওপেন করার পর ব্যালট ইউনিটে একজনের ভোট আরেকজন নির্দিষ্ট প্রতীকে মারতে পারে-এমন প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, ‘না না না, তা মারতে পারে না। বুথের মধ্যে একজনেরটার মধ্যে আরেকজন মারতে পারে। কিন্তু কে সেটা? যদি সে ভোটার অন্ধ হয়, যদি সে ভোটার অক্ষম হয়, যার হাত ব্যবহার করতে পারে না। আগে যে নিয়ম ছিল সেটাই রাখা হয়েছে। মা যদি অন্ধ হয়, তবে ছেলে যাবে, কিন্তু ব্যবহার হবে মায়েরটা আঙুলের ছাপ, তার ভোটই ওপেন হবে, সেটাতেই ভোট দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগে যেমন হতো ছিনতাই টিনতাই হতো। ইভিএম এমন একটি বিষয়, ভোটারকে সেখানে যেতে হবে। ভোটার না গেলেও ভোট হয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল।’
বিএনপি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে অভিযোগ করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন- ‘তারা প্রচার করেছে, মিছিল করেছে, বাড়ি বাড়ি গিয়েছে, কোথায় তাদের বাধা দিয়েছে? এটা ঠিক না।’
তিনি বলেন, ‘আশা করি সুষ্ঠু, নিরপক্ষে ও গ্রহণযোগ নির্বাচন হবে। এতকিছুর পরে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সবার সহযোগিতা দরকার। ইভিএম নতুন একটি প্রযুক্তি। অবশ্যই সবার সহযোগিতা দরকার। অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে ছিলাম। এখন বিশ্বাস করি কমিশনের একটি স্বপ্ন যে, এটার মাধ্যমে ভোটার তার নিজের ভোট দিতে পারবে। এটাকে সফল করার জন্য সবার সহযোগিতা করতে হবে।’
বাসস/এমএসএইচ/২২১২/স্বব