বিদেশী কূটনীতিকরা যেভাবে বিভিন্ন প্রার্থীর বাড়িতে গেছেন তা কোনভাবেই সমীচীন হয়নি : তথ্যমন্ত্রী

672

চট্টগ্রাম, ৩১ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালিন বিদেশী কূটনীতিকরা যেভাবে বিভিন্ন প্রার্থীর বাড়িতে গেছেন তা কোনভাবেই সমীচীন হয়নি।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোন প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে তাকে সহানুভূতি জানানো যেমন বিদেশী কূটনীতিকদের কাজ নয়, তেমনি এটি কুটনীতির অংশও নয়। আমি মনে করি এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করা হয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে ইডেন ইংলিশ স্কুলের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদেশী কূটনীতিকরা যতনা আগ্রহী, তারচেয়ে অনেক বেশী আগ্রহী ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে,এমনকি বিদেশী মিশনগুলোর কূটনীতিকরা ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সাথেও দেখা করেছেন,এ বিষয়ে সাংবাদিকরা তথ্যমন্ত্রীর মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিদেশী কূটনীতিকরা যেভাবে কথাবার্তা বলছেন তা কূটনৈতিক শিষ্টাচারে পড়ে না। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে যখন জাতীয় নির্কাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় তখন সেখানকার বিদেশী কূটনীতিকরা এভাবে কথা বলেন না, অন্যান্য দেশেও বলেন না।
ড. হাছান বলেন,‘আমাদের দেশে আমরা সব সময় দেখতে পাই বিদেশী কূটনীতিকদের এনিয়ে আগ্রহটা বেড়ে যায়। এর জন্য অবশ্য আমাদেরও কেউ-কেউ দায়ী। আপনারা জানেন, কোনো কিছু হলেই বিএনপি দেশে বিদেশী কূটনীতিবিদদের ডেকে নালিশ করে। নালিশতো করবে জনগণের কাছে, দেশের ভোটারের কাছে। কিন্ত তারা নালিশ করে বিদেশী কূটনীতিবদদের কাছে। এটি কোনভাবেই সমীচিন নয়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন,‘নির্বাচন কমিশন যেভাবে বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণ কার্ড দিয়েছে এবং তারমধ্যে আবার রয়েছেন ২৮ জন বাংলাদেশী অর্থাৎ বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী। এটি কিভাবে দিয়েছে, কেন দিয়েছে, সে নিয়ে যদিও গতকাল নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কমিশনের এ ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশী পর্যবেক্ষকরা পর্যবেক্ষণ করবেন, কিন্তু এখানে কোন বিদেশী পর্যবেক্ষক আসেনি। স্থানীয়ভাবে যারা কূটনীতির কাজ করতে এসেছেন, তাদেরকে পর্যবেক্ষণ কার্ড দেওয়া হয়েছে। আবার সেখানে সেই দূতাবাসে কর্মরত ২৮ জন বাংলাদেশীকে পর্যবেক্ষণ কার্ড দেওয়া হলো,এটি কিভাবে দিল, কেন দিল এটি আমার কাছে বোধগম্য নয়। আমার মনে হয়,এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের আরও বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল।’