বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ : বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

184

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪
শেখ হাসিনা-বাণী
বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামীকাল (২৪ জানুয়ারি) ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আজ বৃহষ্পতিবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। মানুষের জীবনমানের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়ন বিস্ময়।’
তিনি বলেন, ‘জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস উপহার দিয়েছি। আসুন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে গড়ে তুলি উন্নত, সমৃদ্ধ ও আধুনিক বাংলাদেশ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা, পরবর্তীকালে ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা। পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মুক্ত করা এবং পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের এ দিনে সংগ্রামী জনতা শাসক গোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করেন। মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণে নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান শহীদ হন।’
তিনি বলেন, ‘জনতার কঠিন রুদ্ররোষ এবং গণঅভ্যুত্থানের জোয়ারে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব-সহ সকলকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। আইয়ুব খানের স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়। অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ঔপনিবেশিক পাকিস্তানি শাসন, শোষণ, নিপীড়ন, বৈষম্য ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। ফলে আরও তীব্রতর হয় স্বাধিকার আন্দোলন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার হীন উদ্দেশ্যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে বঙ্গবন্ধু-সহ ৩৫ জনকে বন্দি করে। এ মামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক জনতা দুর্বার ও স্বতঃস্ফূর্ত গণআন্দোলন গড়ে তোলে।’
বাণীতে তিনি শহীদ মতিউর-সহ মুক্তি সংগ্রামের সকল শহীদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
বাসস/তবি/বিকেডি/১৯৪৫/শআ