আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সবাই আজ ঐক্যবদ্ধ : সরকারি দল

507

সংসদ ভবন, ২২ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও অব্যাহত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সকল রাজনৈতিক দল, শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে সবাই আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
গত ৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য আ স ম ফিরোজ তা সমর্থন করেন।
গত ৯ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ ও বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ আলোচনায় অংশ নেন ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী,সরকারি দলের মাহবুব উল আলম হানিফ, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরোত্তম, রমেশ চন্দ্র সেন,মো.শাহেদুজ্জামন, তাহজিব আলম সিদ্দিকী, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, খালেদা খানম, কাজী কানিজ সুলতানা, জাতীয় পার্টির বেগম সালমা ইসলাম জাসদের শিরীন আখতার ও বিএনপির হারন অর রশীদ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বে বাংলাদেশ আজ এক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের এক বিস্ময়কর নাম। সামাজিক উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তানকসহ প্রতিবেশী অনেক দেশকে পেছনে ফেলে অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতে টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে নতুন করে অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ায় বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছে এক নতুন উচ্চতায় স্থান করে নিয়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভূমির মালিকানায় যাতে সাধারণ মানুষকে আর হয়রানি হতে না হয় তার জন্য ভূমি ব্যাস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয়কে জনমুখী করার উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। মানুষের মনমানসিকতা পরিবর্তন করার উদ্যোগ নিতে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয় আজ মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইনকানুন সহজ করে ই-বুক চালু করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ই-নাম জারি কার্যকরী হওয়ায় মানুষ খুব সহজেই অন লাইনে জমির খতিয়ান ও ম্যাপ সংগ্রহ করতে পারবেন। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ অনেক কমে এসেছে।
তিনি বলেন, সুশাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়ন এবং সমাজের সকল স্তরে জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের মাধ্যমে ‘এ বছর আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন এবং ২০২১ সালে মধ্য-আয়ের দেশ হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে।’
তিনি বলেন, ২০৪১ সালে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত করতে উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূল, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশ, অব্যাহত রয়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে অন্যান্য সদস্যরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের দু’টি লক্ষ্যের মধ্যে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ আজ প্রায় বাস্তব। গণতন্ত্রের এ ধারাবাহিকতা থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ বিশ্বে উন্নত সমৃদ্ধ একটি স্বনির্ভর দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
তারা বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেশের প্রবৃদ্ধি অন্য যে কোন সরকারের সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ। মাথাপিছু আয় ৫শ’ ডলার থেকে বর্তমানে ১৯০৯ ডলারে উন্নীত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৩৩ বিলিয়ন ডলার। রাজস্ব আয় পূর্বের তুলনায় অনেক বেড়েছে। সরকারের দক্ষতার ফলে এ সব সফলতা এসেছে।