বাজিস-৪ : পিরোজপুরের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো মানুষের স্বাস্থ্য সেবার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান

119

বাজিস-৪
পিরোজপুর-কমিউনিটি ক্লিনিক
পিরোজপুরের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো মানুষের স্বাস্থ্য সেবার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান
পিরোজপুর, ১৮ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : জেলার পল্লী অঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে পল্লী এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব ক্লিনিকের দু’একটিতে এখন গর্ভবতী মায়েদের স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করানো হচ্ছে সযতেœ। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার ৭ উপজেলার ৫২ টি ইউনিয়নের ১শত ৬৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৬৩ জন রোগী চিকিৎসা ও ওষুধ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা হচ্ছে ৬ লাখ ৪০ হাজার ৯৫০ জন। একই সময় ৩ লাখ ৩৩ হাজার ২৬২ জন পুরুষ এবং ২৯ হাজার ৭ শত ১৫ জন শিশুও চিকিৎসা এবং ওষুধ নিয়েছে। পিরোজপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে উল্লেখিত সময় ১৯ হাজার ২৫ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসা প্রদানের জন্য পিরোজপুর, বরিশাল, খুলনা এবং ঢাকার সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জেলার ১ শত ৬৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে বর্তমান সরকার ইতিমধ্যেই ১ শত ৬৪ টি ক্লিনিক চালু করেছে এবং ৪ টির নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে এবং অচিরেই এ তিনটি চালুর প্রস্তুতি চলছে। চালু কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে সদরে ১৭টি, নাজিরপুরে ২৮টি, নেছারাবাদে ৩০টি, কাউখালীতে ১৪টি, ভান্ডারিয়া ২৩টি, মঠবাড়িয়ায় ৪০টি এবং ইন্দুরকানীতে ১২টি রয়েছে।
পিরোজপুরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ শিশির রঞ্জন অধিকারী বাসসকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে পল্লী এলাকার নারী-পুরুষ-শিশুর স্বাস্থ্য সেবা দোর গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর এক যুগান্তকারী পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করেন। ২০০১ পরবর্তী সরকার এর নির্দেশে দেশের সকল কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করা হয়। ২০০৯ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া ক্লিনিক চালুর পাশাপাশি নতুন ক্লিনিক ভবণ নির্মাণ করেছে। জ্বর, আমাশয়, গ্যাষ্ট্রিক,কাশি , ডায়রিয়া, জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ, ডায়রিয়া, বদ হজমসহ ৩৩ ধরনের রোগের ওষুধ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া পিরোজপুরের কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকে নিরাপদে সন্তান প্রসব করানো হচ্ছে। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েক জন নারী-পুরুষ এ প্রতিবেদককে জানান বাড়ি থেকে অনতি দূুরে এসব ক্লিনিক চালু হওয়ায় তাদের অর্থ ও কষ্ট দুটোই লাঘব হচ্ছে এবং তারা উপকৃত হচ্ছে। পিরোজপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মো. চান মিয়া মাঝি জানান, তার ইউনিয়নের ক্লিনিকে নিয়মিত যতœসহকারে আগত রোগীদের চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হয়। এসব কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হচ্ছে। উমেদপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা গৃহবধূ শাহিনুর বেগম (৩২) জানান, তিনি তার স্বামী এবং ৩টি সন্তান এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগের সুচিকিৎসা ও ওষুধ পাচ্ছেন। এখানে এ ক্লিনিক না হলে আমাদের মত অস্বচ্ছল মানুষদের অনেক অর্থ ব্যয় ও কষ্ট করে শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হতো, যা আমাদের পক্ষে সম্ভব হতো না।
বাসস/সংবাদদাতা/১১৫৫/নূসী