জমির আইল উঠিয়ে সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদ দারিদ্র্য বিমোচনে বিরাট ভূমিকা রাখবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

340

কুমিল্লা, ১৭ জানুয়ারি, ২০২০(বাসস) : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জমির আইল উঠিয়ে সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদ কৃষকদের দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে বিরাট ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, এ ধরনের চাষাবাদ পদ্ধতির পরিকল্পনা বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালেই করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নীতি দর্শনই সরকার আজ বান্তবায়ন করছে।
কুমিল্ল¬ার লাকসাম উপজেলার নোয়াপাড়ায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) কর্তৃক গৃহীত ‘কৃষির যান্ত্রিকীকরণ ও যৌথ খামার ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন এবং স্থানীয় কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আজ এসব কথা বলেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. রেজাউল আহসান এবং কুমিল্লা বার্ডের মহাপরিচালক মো.শাহজাহান।
তাজুল ইসলাম বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে সরকারের সব ধরনের ভর্তুকির পরও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কৃষকরা তাদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। এ পরিস্থিতিতে কৃষির উৎপাদন ব্যয় হ্রাসের উপায় উদ্ভাবন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার করে যৌথ খামার প্রতিষ্ঠার ফলে কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ হ্রাস পাবে এবং কৃষি হবে কৃষকের জন্য একটি লাভজনক জীবিকা। এছাড়াও পরীক্ষামূলক এ প্রকল্পটি একটি উন্নয়ন মডেল হিসাবে দাঁড়াবে এবং কৃষিতে আরেকটি নতুন বিপ্লব সূচিত হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, যান্ত্রিকীকরণের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করে আধুনিক চাষ ব্যবস্থা প্রবর্তনের মডেল উদ্ভাবনের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। এই পদ্ধতিতে খন্ড খন্ড জমিকে ডিজিটাল ভূমি জরিপের মাধ্যমে আইল ঊঠিয়ে দিয়ে বৃহদাকার জমিতে একই ও বিভিন্ন জাতের ফসলের চাষাবাদ ও শস্য উৎপাদন করা হচ্ছে। আধুনিক এ পদ্ধতিতে কৃষকদের নিয়ে গঠিত একটি ‘সমাজভিত্তিক এন্টারপ্রাইজ’ এর মাধ্যমে চাষাবাদ পরিচালনা করা হচ্ছে। পরে মন্ত্রী ফিতা কেটে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।