সেবা প্রদানকারী ও সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে আন্তরিকতা প্রয়োজন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

339

ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, আগামী দু’বছর- বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য এ দেশের ৭৭টি মিশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে তুলে ধরা হবে। আমরা দারিদ্রক্লিষ্ট অর্থনীতির হিসেবে বাংলাদেশের ব্রান্ডিং আমরা পরিবর্তন করতে চাই।
আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা- ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত ‘উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তা : ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের চালিকা শক্তি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগ, রপ্তানি বৃদ্ধি ও রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং বাংলাদেশের জনবলের বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে অর্থনৈতিক কূটনীতি ও পাবলিক ডিপলোমেসি’র বিষয়ে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সেবা প্রদানকারী ও সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে আন্তরিকতা প্রয়োজন। এতে সেবার মান ভাল হয়। বাংলাদেশে ডিজিটাল সেবা চালু হওয়ায় সেবার মান ভাল হচ্ছে। এতে সময় ও অর্থের সাশ্রয়ের পাশাপাশি হয়রানিও কম হয়। আর যারা সেবা গ্রহণ করবেন তাদেরকে জানতে হবে সেবা নেয়ার কৌশল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ১ কোটি ২২ লক্ষ লোক বিদেশে কাজ করে যাদের অধিকাংশ অদক্ষ। বিদেশে দক্ষ জনবল পাঠাতে পারলে আমাদের রেমিটেন্স অনেক বেড়ে যাবে। সেবার মান বৃদ্ধিতে দূতাবাসে অ্যাপস চালু করা হয়েছে। এতে ৩৪ ধরনের সেবা খুব সহজে পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী মোমেন বলেন, সবচেয়ে বড় সম্পদ দু’টি সম্পদ মানবসম্পদ ও পানি যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে আমাদেরকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি বলেন সিলেট বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল সিটি; এখানে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ৫২ ধরনের সেবা পাওয়া যাচ্ছে।