বাসস ক্রীড়া-১৫ : সুইডেনকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড

879

বাসস ক্রীড়া-১৫
ফুটবল-ইংল্যান্ড-সুইডেন
সুইডেনকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড
সামারা, ৭ জুলাই ২০১৮ (বাসস) : সুইডেনকে হারিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। ২৮ বছর পর ফুটবল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার পথে আজ ২১তম আসরের তৃতীয় কোয়ার্টারফাইনালে ইংল্যান্ড ২-০ গোলে হারিয়েছে সুইডেনকে। ১৯৯০ সালের পর প্রথমবার মেগা ইভেন্টের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো ১৯৬৬ আসরের চ্যাম্পিয়ন ইংলিশরা। অপরদিকে, দ্বিতীয়বারের মত কোয়ার্টারফাইনাল থেকে বিদায় নিলো সুইডেন।
বিশ্বকাপ মঞ্চে এর আগে চারবার মুখোমুখি হয়েছিলো ইংল্যান্ড ও সুইডেন। কিন্তু চারবারের দেখায় কেউই জিততে পারেনি। সবগুলো ম্যাচই ড্র হয়। তবে এ ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছিলো না দু’দল। তাই শেষ ষোলোতে কলম্বিয়ার বিপক্ষে একাদশই বজায় রাখেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। তবে দু’টি পরিবর্তন ঘটে সুইডেনের একাদশে। নিষেধাজ্ঞার কারণে এ ম্যাচে খেলতে পারছেন না ডিফেন্ডার মাইকেল লাস্টিগ। তার জায়গায় এসেছেন আরেক ডিফেন্ডার এমিল ক্রাফট। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে একাদশে ফিরেছেন মিডফিল্ডার সেবাস্তিান লারসন।
৩-১-৪-২ ফরমেশনে শুরু করা ইংল্যান্ড প্রথম আক্রমনে যায় ১৯ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে স্ট্রাইকার ও অধিনায়ক হ্যারি কেনকে বল দেন মিডফিল্ডার রাহিম স্টার্লিং। এরপর সুইডেনের এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সের কাছাকাছি চলে আসেন কেন। তবে বক্সের বাইরে থেকে কেনের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে গোল বঞ্চিত হয় ইংল্যান্ড।
২৩ মিনিটে স্টার্লিংয়ের ক্রস বক্সের ভেতর থাকা সুইডেনের মিডফিল্ডার এমিল ফোর্সবার্গের হাতে লাগে। পেনাল্টির আবেদন করেছিলেন ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। তবে রেফারি সে আবেদনে সাড়া দেননি। ফলে নিশ্চিত পেনাল্টি বঞ্চিত হয় ইংল্যান্ড।
ভালো ভালো দু’টি আক্রমনে গোল না পেলেও ৩০ মিনিটে ঠিকই গোল আদায় করে নেয় ইংল্যান্ড। ম্যাচে নিজেদের প্রথম কর্ণারটি ভালোভাবে কাজে লাগায় ইংলিশরা। ডিফেন্ডার অ্যাশলে ইয়ং-এর কর্নার থেকে আসা বলে হেড দিয়ে গোল আদায় করে নেন আরেক ডিফেন্ডার হ্যারি মাগুইয়ার(১-০)। ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে এটিই তার প্রথম গোল। তার গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ইংল্যান্ড। এসময় শুধুমাত্র লিডই ছিলো না বল দখলেও এগিয়ে ছিলো ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের জন্য ইংল্যান্ডের সীমানায় আক্রমন চালায় সুইডেন। ডিফেন্ডার লুডউইগ আগাসটিনসনের ক্রস থেকে ইংল্যান্ডের বক্সের মধ্যে হেড দিয়েছিলেন স্ট্রাইকার মার্কোস বার্গ। কিন্তু তার হেডটি রুখে দেন ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। ফলে ম্যাচে সমতা আনার ভালো সুযোগ হাতছাড়া করে সুইডেন।
সুইডেন গোল মিস করলেও ৫৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করে ফেলে ইংল্যান্ড। মিডফিল্ডার জেসে লিংগার্ডের ক্রস থেকে ছয় গজ দূর থেকে হেডে গোল করেন ইংল্যান্ডের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ডেলে আলি। ফলে ২-০ ব্যবধানে লিড নেয় ইংল্যান্ড।
৭১ মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে আনার সুযোগ হাতছাড়া করেন সুইডেনের বার্গ। অবশ্য এজন্য পুরো কৃতিত্ব দিতে হবে ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক পিকফোর্ডকে। দক্ষতার সাথেই বার্গের শট রুখে দেন পিকফোর্ড।
৮২ মিনিটে কেনের যোগান দেয়া বল নিয়ে সুইডেনের বক্সের বাইরে থেকে শট নেন মিডফিল্ডার লিংগার্ড। কিন্তু তার শটটি রুখে দেন সুইডেনের রক্ষণভাগ।
ম্যাচের শেষ দিকে অর্থাৎ ৯০ মিনিটে গোলের শেষ সুযোগটি হাতছাড়া করে সুইডেন। ফ্রি-কিক থেকে নেয়া ডিফেন্ডার আগাসটিনসনের শট ইংল্যান্ডের গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ফলে এবারও গোল বঞ্চিত হয় সুইডেন। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।
বাসস/এএমটি/২২২২/স্বব