বাসস দেশ-৪৪ : বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার : সালমান রহমান

234

বাসস দেশ-৪৪
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি উপদেষ্টা – এএফএফ
বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার : সালমান রহমান
ঢাকা,১৩ জানুয়ারি,২০২০ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি বলেছেন,বাংলাদেশে সুশাসন ও সুযোগ থাকার কারণে ১০ বছরের ব্যবধানে রপ্তানির পরিমান ৫ গুণ বেড়ে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘১০ বছর আগে আমাদের মাত্র ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। এখন হয় ২৪ হাজার মেগাওয়াট। আমাদের রপ্তানি ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারে এসেছে পৌঁছেছে। এসব হয়েছে,কারণ এখানে সুযোগ ছিল, সুশাসনও ছিল। এ দু’টি কারণেই বাংলাদেশ এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছে।’
সালমান এফ রহমান আজ হংকংয়ে এশিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল ফোরামে (এএফএফ) ‘বৈশ্বিক বাণিজ্য ও সরবরাহ চেইন অর্থায়নের বিবর্তন’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্যানেল বক্তা হিসেবে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
তিনি গুরুত্বপূর্ণ এই বৈশি^ক ফোরামে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আজ সোমবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সঙবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়,বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসি’র গ্লোবাল ট্রেড অ্যান্ড রিসিভেবলস ফাইন্যান্স’র বৈশ্বিক প্রধান মিস নাটালি ব্লাইথের তত্বাবধানে এ অনুষ্ঠানের অপর দু’জন বক্তা ছিলেন চীনের লি অ্যান্ড ফাং লিমিটেডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ড. উইলিয়াম ফাং ও বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড পিএলসি’র প্রধান নির্বাহী বিল উইন্টার্স।
আলোচনায় সংরক্ষণবাদের উত্থান, নিয়মনীতি-ভিত্তিক বৈশ্বিক বহুমুখী বাণিজ্য পদ্ধতিকে অগ্রাহ্য করার ক্রমবর্ধমান প্রবণতায় বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এবং সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় পদক্ষেপ স্থান পায়।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা প্যানেল আলোচকদের মন্তব্যের সাথে একমত পোষণ করেন। তবে তিনি বলেন,বৈশ্বিক বাণিজ্য কাঠামোর কারণে বাংলাদেশ উপকৃত হয়েছে।
সালমান রহমান প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘১০ বছর আগে, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আজ সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাইবার অপটিক কাঠামো স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।’
সালমান রহমান বলেন, ‘আমরা শিগগিরই শিশুদের পাঠ্যক্রমে কোডিং অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। কেননা, আমরা যদি প্রস্তুত না থাকি, তাহলে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের সুবিধা ঘরে তুলতে পারবো না।’
প্যানেল আলোচনা ছাড়াও এশিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল ফোরামের অন্যান্য অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়ার কথা রয়েছে উপদেষ্টার।
এ ফোরামে হংকং-এ অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসার সুযোগ’ শীর্ষক একটি ডিনার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে,যাতে উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে একটি পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনা করবেন। এর বাইরে এইচএসবিসি’র জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যাংকটির গ্রাহক ও সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মিলিত হবার কর্মসূচিও তার রয়েছে।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হংকংয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/২১১০/এইচএন