বাসস ক্রীড়া-১২ : বিপিএল খুলনাকে প্লে-অফে তুললেন মুশফিক

438

বাসস ক্রীড়া-১২
ক্রিকেট-বঙ্গবন্ধু বিপিএল
খুলনাকে প্লে-অফে তুললেন মুশফিক
ঢাকা, ১০ জানুয়ারি ২০২০ (বাসস) : জিতলেই চতুর্থ ও শেষ দল হিসেবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্লে-অফের টিকিট পাবে দল। এমন সমীকরনে ব্যাট হাতে অনবদ্য ৯৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে প্লে-অফে তুললেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
দিনের দ্বিতীয় ও টুর্নামেন্টের ৪০তম ম্যাচে আজ খুলনা ৯২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে কুমিল্লাকে। এই জয়ে খুলনার প্লে-অফ নিশ্চিত হবার পাশাপাশি, এবারের আসরে পঞ্চম হয়েই টুর্নামেন্ট শেষ করতে হলো কুমিল্লাকে। ১২ ম্যাচ শেষে ৫জয় ও ৭হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের পঞ্চম স্থানে কুমিল্লা। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১০ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে থেকে ষষ্ঠস্থানে থেকে আসর শেষ করে রংপুর রেঞ্জার্স। অপরদিকে, ১১ ম্যাচে ৭জয় ও ৪হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেলো খুলনা। খুলনার মত ১৪ করে পয়েন্ট ঢাকা প্লাটুন ও রাজশাহী রয়্যালসেরও। কিন্তু রান রেটে এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে খুলনা। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ঢাকা ও রাহশাহী। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে শীর্ষে চট্টগ্রাম।
আগামীকাল চলমান আসরের লিগ পর্বের শেষদিনে মাঠে নামবে প্লে-অফ নিশ্চিত করা এই চারটি দলই। দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম লড়বে রাজশাহীর। আর সন্ধ্যার ম্যাচে খুলনার প্রতিপক্ষ ঢাকা। প্লে-অফ নিশ্চিত হলেও, শেষ দিনে উত্তেজনা থাকছে। কারন এই চার দলই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুইয়ের মধ্যে থাকার লক্ষ্যে নিজ নিজ ম্যাচে জিততে চাইবে।
আজ দ্বিতীয়বারের মত বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন খুলনার অধিনায়ক মুশফিক। তার ৫৭ বলে অপরাজিত ৯৮ রানের সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ২ উইকেটে ২১৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় খুলনা। জবাবে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৬ রান করে কুমিল্লা। চলমান বিপিএলে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ৯৬ রান করে আউট হয়েছিলেন মুশফিক।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ইনিংসের চতুর্থ বলেই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায় খুলনা। ১ রান করে ফিরেন শান্ত। এরপর ইনফর্ম রিলি রৌসুও ১১ বলে ২৪ রান করে থামেন।
দলীয় ৩৩ রানে রৌসুর বিদায়ের পর শক্ত হাতে হাল ধরেন আরেক ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও অধিনায়ক মুশফিক। মারমুখী মেজাজে ব্যাট করে ৯১ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৬৮ রান যোগ করেন তারা। আহত অবসর নেন মিরাজ। আহত অবসরের আগে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৫ বলে ৭৪ রান করেন মিরাজ। ৩৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিরাজ।
৩৮ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করা মুশফিক, শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় দাড়িয়ে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার ৫৭ বলের ইনিংসে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো। ১টি ছক্কায় ৪ বলে অপরাজিত ৭ রান করেন আফগানিস্তানের নাজিবুল্লাহ জাদরান। ফলে ২ উইকেটে ২১৮ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। এবারের আসরের ১৫তম ম্যাচের পর আজ কোন দল ২শ রান করলো। সর্বশেষ চট্টগ্রামের মাটিতে ৫ উইকেটে ২৩২ রান করেছিলো সিলেট থান্ডার। বল হাতে কুমিল্লার ইনিংসে ইরফান হোসেন ও আফগানিস্তানের মুজিব-উর-রহমান ১টি করে করে উইকেট নেন।
২১৯ বড় টার্গেটে খেলতে নেমে ব্যাট হাতে শুরুতেই হোঁচট খায় কুমিল্লা। খুলনার বোলারদের তোপে বড় ইনিংস খেলার সুযোগ পাননি তারা। আগের ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি পাওয়া, সাব্বির রহমান নিজের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই ফিরে যান।
এরপর দ্রুত দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যান জিল ১০ ও ডেভিড মালান ৮ রান করে ফিরেন। ফলে ৩২ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে কুমিল্লা। শ্রীলংকার উপুল থারাঙ্গার ৩২ রান টপ-অর্ডারের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিলো। দলীয় ৬০ রানে আউট হন থারাঙ্গা।
পরবর্তীতে মিডল-অর্ডারে ছোট ছোট ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অধিনায়ক সৌম্য সরকার-ইয়াসির আলি ও ফারদিন হাসান। সৌম্য ১০, ইয়াসির ২০ ও ফারদিন ২২ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১২৬ রান করে কুমিল্লা। খুলনার পেসার শহিদুল ইসলাম ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট শিকার করেন পাকিস্তানের আমির ও স্পিনার আমিনুল ইসলাম। ম্যাচ সেরা হয়েছেন খুলনার মুশফিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
খুলনা টাইগার্স : ২১৮/২, ২০ ওভার (মুশফিক ৯৮*, মিরাজ ৭৪ আহত অবসর, মুজিব ১/১৮)।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স : ১২৬/৯, ২০ ওভার (থারাঙ্গা ৩২, ফারদিন ২২, শহিদুল ৩/২৭)।
ফল : খুলনা টাইগার্স ৯২ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : মুশফিকুর রহিম (খুলনা টাইগার্স)
বাসস/এএসজি/এএমটি/২৩১০/স্বব