মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্কুল মিল কার্যক্রমের উদ্বোধন

291

ঢাকা, ৭ জানুয়ারি, ২০২০(বাসস): মুজিবর্ষ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের ১৬টি উপজেলায় ৪ লাখ ১০ হাজার ২৩৮ জন শিক্ষার্থীকে স্কুল মিল কার্যক্রমের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আজ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ায় নীলফা বয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসব উপজেলার শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল মিল কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এ কথা বলেন।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো:আকরাম আল হোসেন ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সোহেল আহমেদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,জেলার মোট ২ হাজার ১৬৬ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল মিল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে টুঙ্গীপাড়া উপজেলায় ৩৩টি বিদ্যালয়ে আজকে থেকে রান্না করা খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।২০২৩ সালের মধ্যে সারাদেশের স্কুলগুলো এ কর্মসূচির আওতায় আসবে।
তিনি বলেন,আগামী বছর থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যে ডিপিপি প্রণয়নের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
বর্তমান সরকারের সময়ে বিদ্যালয় গমনোপযোগী প্রায় শতভাগ কোমলমতি শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে সক্ষম হয়েছি এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,কিন্তু এখনো দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় কিছু সংখ্যক শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে রয়ে গেছে এবং বিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুভর্তি শতভাগ ধরে রাখতে,ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতর হার বৃদ্ধি,ঝরে পড়ার প্রবণতা রোধ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পুরণকল্পে দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় মিড-ডে-মিল এবং স্কুল ফিডিং প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন,ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় স্কুল মিল নীতিমালা ২০১৯-এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।এ নীতিমালা অনুমোদনের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,অন্যদিকে,দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পটি ২০১০সালে শুধুমাত্র গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলায় শুরু হয়।বর্তমানে ১০৪ টি উপজেলায় ২৮ লাখ ৭৫ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে প্রতি স্কুল দিবসে উপস্থিতির ভিত্তিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দৈনিক ৭৫ গ্রাম ফর্টিফাইড বিস্কুট দেয়ার কার্যক্রম চলমান আছে।
শুধুমাত্র বিস্কুট নয়,একদিন অন্তর অন্তর রান্না করা খাবার ও উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিস্কুট সরবরাহ দেশের ১৬ টি উপজেলার ৪০০টি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল মিল কার্যক্রম চলমান আছে।
শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়েছে।ঝরে পড়ার হার ১৮ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে যা ২০০৬ সালে বিএনপি-জামাত সরকারের সময় ছিল ৫০ দশমিক ৫০শতাংশ। অচিরেই তা সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে আসবে বলেও উল্লেখ করেন।