চট্টগ্রাম সিটিতে ২ লাখ দরিদ্র পাবেন ‘মেয়র হেলথ্ কার্ড’ সুবিধা

559

চট্টগ্রাম, ১ জানুয়ারি ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) এবার চালু হচ্ছে ২ লাখ নাগরিকের জন্য ‘মেয়র হেলথ্ কেয়ার কার্ড’ কর্মসূচি।
চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন আজ মঙ্গলবার দুপুরে আন্দরকিল্লা চসিক মিলনায়তনে এ বিশেষ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
জানা যায়, নগরীর ৪১ হাজার দরিদ্র পরিবারের ২ লাখ সদস্য চসিকের এ বিশেষ স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসবেন। এ ক্ষেত্রে যে পরিবারের মাসিক আয় সাড়ে আট হাজার টাকার নিচে তারাই অগ্রাধিকার পাবেন। কার্ডধারীরা ২৪ ধরণের স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ পাবেন। এসব সেবার মধ্যে রয়েছে এমবিবিএস ডাক্তার বা প্যারামেডিকেল সেবা, গর্ভাকালীন সেবা, কম্প্রিহেনসিভ এএনসি, নরমাল ডেলিভারি সেবা, ক্ষেত্রবিশেষে সিজারিয়ান সুবিধা, প্রসবের পর সেবা, নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা, এমআর ও এর পরবর্তী সেবা, সাধারণ ও সংক্রামক রোগের সেবা, রেফারেন্স সুবিধা, ফ্রি ওষুধ, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেমন রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ইউরিন রুটিন পরীক্ষা, ডায়াবেটিস নির্ণয়ে রেনডম ব্লাড সুগার পরীক্ষা, প্রেগন্যান্সি টেস্ট, সিবিসি, এইচআইভি ও হেপাটাইটিস বি পরীক্ষা, আলট্রাসনোগ্রাম, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া পরীক্ষা। হেলথ্ কার্ডধারী ও পরিবারের সদস্যরা বিনামূল্যে সারাবছর এসব স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। এছাড়া, পরিবারের কোনো সদস্য দুর্ঘটনায় আহত হলে চসিক জেনারেল হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসা পাবেন। কার্ডটি হস্তান্তর করা যাবে না। তবে হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি দ্রুত ইতিবাচক ব্যবস্থা নেবেন।
হেলথ্ কার্ড বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, আমাদের সাংাবিধানিক মৌলিক অধিকার পাঁচটি অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। এর মধ্যে অন্যতম শিক্ষা ও চিকিৎসা নিয়ে চসিক দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। আগে চসিকের চিকিৎসা কেন্দ্রে ফি ছিল ৩০ টাকা। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর এটি কমিয়ে করেছি ১০ টাকা। এখন নতুন করে যোগ করছি মেয়র হেলথ্ কার্ড।
মেয়র আরো বলেন, নগরীর ৪১ ওয়ার্ড থেকে ৪১ হাজার পরিবারকে মেয়র হেলথ্ কার্ড সেবার আওতায় আনা হবে। এ খাতে চসিকের ব্যয় হবে প্রায় ২৬ কোটি টাকা। প্রয়োজন হলে পর্যায়ক্রমে এ সেবার আওতা আরো বাড়ানো হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন এনজিও কনসার্ন-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর একেএম মুসা ও কনসোটিয়াম ম্যানেজার ইমরানুল হক। সঞ্চালনায় ছিলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী।