টেকসই নগরী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার : এলজিআরডি মন্ত্রী

749

ঢাকা, ৫ জুলাই ২০১৮ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিভিন্ন কারণে বৈশি^ক আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিশে^র অন্যতম মেগাসিটি হিসেবে ঢাকাকে আধুনিক ও টেকসই নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বিশ^ব্যাংক, ঢাকা আয়োজিত ‘টুওয়ার্ড গ্রেট ঢাকা : নিউ আরবান ডেভেলপমেন্ট প্যারাডিজমইস্টওয়ার্ড’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিও ফ্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার গবেষক ও নগর পরিকল্পনাবিদরা প্রবন্ধ উপস্থাপন ও বক্তব্য প্রদান করেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার ঢাকা মহানগরে যানজট ও জলজটের ভয়াবহতা দূর করতে কাজ করছে। নগরীতে বিশুদ্ধ পানীয়জল সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিতকরণে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক ২ টি মাষ্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে নতুন সংযুক্ত অঞ্চলসমূহ যাতে সমানভাবে উন্নয়নের সুবিধা ভোগ করে সেলক্ষ্যে এ অঞ্চলসমূহের উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বসবাসোপযোগী নগরী গড়তে সরকার বদ্ধপরিকর। পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে টেকসই নগরী গড়ে তুলতে বিশ^ব্যাংক ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরসমূহ কাজ করছে।
আগামী ২০৩৫ সালের পূর্বে বিশে^র অন্যতম সেরা নগরী হিসেবে ঢাকাকে গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঢাকা ও চারপাশের নদীসমূহের দূষণরোধ ও নাব্যতা রক্ষায় একটি মাষ্টারপ্ল্যান প্রণয়নে সরকার কাজ করছে। ঢাকার প্রাকৃতিক জলাধারসমূহ রক্ষায় ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এসকল পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়িত হলে ঢাকার বর্তমান দুর্নাম ঘুচবে বলেও মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।