বাসস দেশ-৭ : জামিন পাননি ঢাকা ব্যাংক কর্মকর্তা

136

বাসস দেশ-৭
হাইকোর্ট-আদেশ
জামিন পাননি ঢাকা ব্যাংক কর্মকর্তা
ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : ভুয়া বিলের মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা থেকে টাকা আত্মসাতের মামলায় জামিন পাননি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা শাখার ভিপি ও ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম।
রোববার রুল ডিসচার্জ ফর নন প্রসিকিউশন করলেন হাইকোর্ট।
আজ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল শুনানি শেষে রুল ডিসচার্জ ফর নন প্রসিকিউশন মর্মে রায় দেন।
এর আগে গত ১৬ জুলাই তাকে কেন জামিন প্রদান করা হবে না-মর্মে দুই সপ্তাহের রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষে ডপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ভুঁইয়া । আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, আসামিরা একে অন্যের যোগসাজশে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার, জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে প্রতারণামূলকভাবে, ভূয়া রফতানি দেখিয়ে ২৬টি রফতানি বিল ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ধানমন্ডি শাখায় জমা দেন। পরে তারা ১৭টি বিলের বিপরীতে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ১২৬ টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে কয়কটি বিলের আংশিক মূল্যসহ মোট ৫ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যাংকে ফেরত দেন এবং অবশিষ্ট ১৪টি বিলের মূল্য ২১ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৭১ টাকা ব্যাংকে ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন সাত জনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্তাধীন রয়েছে। উল্লেখিত আসামি ছাড়াও মামলার অন্য ছয় আসামি হলেন সাইমেক্স লেদার প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব (টি এস আইয়ুব), তার স্ত্রী কোম্পানির পরিচালক তানিয়া রহমান, ঢাকা ব্যাংকের এভিপি ও সিপিসি সুলতানা ফাহমিদা , মেসার্স এস অ্যান্ড এস এজেন্সির মালিক বিভূতি ভূষণ বালা, মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ আসাদুজ্জামান মিন্টু এবং মেসার্স সাদাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আমিনুল ইসলাম।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৩৩০/-কেএআর