বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ : জনসনকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন, রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হস্তক্ষেপের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

113

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২
প্রধানমন্ত্রী-জনসন
জনসনকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন, রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হস্তক্ষেপের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির আকর্ষণীয় বিজয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে পাঠানো এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিজয় দলটির নেতৃত্বের প্রতি যুক্তরাজ্যের জনগণের ব্যাপক আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন। এই বিজয় ঢাকা-লন্ডনের বিদ্যমান সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের বিচার নিশ্চিত করতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের কামনা করছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বের সহায়তায় রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো মিয়ানমারের বর্বরতার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব। আর এটা সম্ভব হলেই রোহিঙ্গারা পূর্ণ অধিকার, সম্মান, নিরাপত্তা ও টেকসই পরিবেশে তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যেতে পারবে।’
এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জনসনের বাংলাদেশ সফর ও রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের কথা তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশ দুটির সম্পর্ক গণতন্ত্র ও সহনশীলতার অভিন্ন মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলার মতো ইস্যুতে আমরা একই অবস্থানে রয়েছি। আমরা অধিকতর সমৃদ্ধির আকাক্সক্ষার অংশীদার।
তিনি পুনরুল্লেখ করেন যে, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাজ্য সরকার ও জনগণ বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছিল।
তিনি বলেন, কোন হয়রানি ছাড়াই পাকিস্তানি কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাজ্যের দৃঢ় অঙ্গীকার ছিল দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেও মূল ভিত্তি।
শেখ হাসিনা, এই বন্ধুত্ব এবং পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি লন্ডনে পৌঁছালে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথ তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা প্রদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ অর্জনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্কের জন্য প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বিশ্বাস করেন, নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বরিস জনসন নতুন করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ায় যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশ-বৃটিশ নাগরিকসহ আমাদের জনগণের পারস্পরিক স্বার্থের জন্য ঢাকা-লন্ডন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।
তিনি বলেন, ‘অভিন্ন স্বার্থ এবং মানবতার জন্য অংশীদারিত্বের সম্পর্ক আরো জোরদারে বৃটিশ সরকারের সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করার জন্য আমি তাকিয়ে আছি।’
শেখ হাসিনা ২০২০ সালে বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বরিস জনসনকে আন্তরিকভাবে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রন জানান।
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়লাভ করেন, তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টি হাউস অব কমন্সসে’র ৬৫০ আসনের মধ্যে ৩৫৬ আসন লাভ করে। আশির দশকে মার্গারেট থ্যাচারের পরে এটি বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়।
বাসস/এসএইচ/অনু-কেএআর-এমএবি/১৬৪২/আরজি