বাসস রাষ্ট্রপতি-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : ইভিনিং কোর্স পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করছে : রাষ্ট্রপতি

240

বাসস রাষ্ট্রপতি-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
হামিদ-ঢাবি-সমাবর্তন
ইভিনিং কোর্স পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করছে : রাষ্ট্রপতি

ছাত্র-ছাত্রীরা জ্ঞান অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, লাশ হয়ে বা বহিষ্কৃত হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য নয়। কর্তৃপক্ষ সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নিলে এসব অপ্রত্যাশিত ঘটনা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি ভিসি ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের ডিসেম্বরের আগে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেন, যাতে ভর্তিচ্ছুদের বাড়তি ঝামেলা এড়ানো যায়।
রাষ্ট্রপতি গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে তাদের দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার এবং পরবর্তীতে পরিবারসহ দেশের জন্য ভালো কিছু করার উপদেশ দেন। তিনি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এমনকি শহর এলাকায়ও ভেজাল ওষুধ সরবরাহের কঠোর সমালোচনা করেন। চিকিৎসক ও ফার্মাসির ছাত্রদের ভেজাল ও নকল ওষুধের বিরুদ্ধে জোরালো প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এসব ওষুধ মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।
রাষ্ট্রপতি ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে, পরবর্তী নির্বাচন কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে।
ডাকসু নেতৃবৃন্দের ভূমিকার সমালোচনা করে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ডাকসু নেতাদের ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে কাজ করা উচিত।
রাষ্ট্রপতি হামিদ ২০২০ সালে মুজিববর্ষকে সামনে রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর সম্মানসূচক ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি প্রদান করার সিদ্ধান্তের জন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষের প্রতি কতৃজ্ঞতা জানান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে উৎকর্ষ ও উন্নত মানবসম্পদ গড়ার কেন্দ্র অভিহিত করে বলেন, ১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরুর পর থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসে ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬-দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান সর্বোপরি ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘনিষ্ট যোগ রয়েছে।
পদার্থ বিজ্ঞানী নোবেল বিজয়ী ও জাপানের ইনস্টিটিউট ফর কসমিক রে রিসার্চ অব টোকিও ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর প্রফেসার তাকাকি কাজিতা সমাবর্তন বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মো. আকতারুজ্জামান, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ড. নাসরিন আহমেদও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে ২০,৭৯৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্রাজুয়েট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে ৯৮ জন রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেন। এছাড়া, ৫৭ জনকে ডক্টর অব ফিলসফি (পিএইডি) ও ১৪ জনকে মাস্টার অব ফিলসফি (এমফিল) ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭টি কলেজের শিক্ষার্থীরাও ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সমাবর্তনে অংশ নেন।
১৯২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
ডাকসু নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিক এবং সিনিয়ার বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/এসআইআর/অনুবাদ-এইচএন/১৯৫৫/মমআ/-কেএমকে