বাসস দেশ-২৬ : সড়কে চাপ কমাতে নদীপথের ব্যবহার বাড়াতে হবে : মেয়র নাছির

519

বাসস দেশ-২৬
চট্টগ্রাম-মেয়র-নদীপথ
সড়কে চাপ কমাতে নদীপথের ব্যবহার বাড়াতে হবে : মেয়র নাছির
চট্টগ্রাম, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, সড়কে চাপ কমাতে নদীপথের ব্যবহার বাড়াতে হবে। বিশে^র উন্নত দেশগুলো তাদের নদীর সর্বোচ্চ ব্যবহার করে থাকে। এ ক্ষেত্রে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি।
মেয়র আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে চালুর জন্য অপেক্ষমান ওয়াটার বাসযোগে সদরঘাট থেকে বিমানবন্দর ঘুরে এসে পতেঙ্গা ওয়াটারবাস টার্মিনালে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনায় এ অভিমত ব্যক্ত করেন। এসএস ট্রেডিং নামে একটি বেসরকারি সংস্থা বিমানযাত্রীদের জন্য বিশেষ এ প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।
মেয়রের নেতৃত্বে একটি টিম সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ওয়াটারবাসযোগে বিকাল ৩ টায় রওয়ানা দিয়ে ৩ টা ২০ মিনিটে পতেঙ্গা ওয়াটারবাস টার্মিনালে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে ৩ মিনিটে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শাটলবাসযোগে বিমানবন্দর যায়। বিমানবন্দর থেকে আবার ২৫ মিনিটে পরিদর্শন দলটি সদরঘাট টার্মিনালে ফেরত আসে।
মেয়র নাছির এ পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এই সেবাটি যেমন মানুষের সময় বাঁচাবে তেমনি শব্দ ও বায়ুদূষণ থেকে যাত্রীদের রক্ষা করবে। এতে শহরের রাস্তার ওপর থেকে অনেক চাপ কমবে যা মানুষের জীবনের গতিধারাকে আরও তরান্বিত করবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মানুষের মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে যে নদীপথ একটু বিপজ্জনক। আসলে নদীপথ যে সড়ক থেকে আরও অনেক বেশি নিরাপদ তা আমাদেরকে বুঝতে হবে। এসএস ট্রেডিং-এর এই আন্তজার্তিক মানের নিরাপদ ও আরামদায়ক ওয়াটারবাস এই ভ্রান্ত ধারণাকে লাঘব করবে।
ওয়াটার বাস পরিদর্শনকালে মেয়রের সঙ্গে ছিলেন ওয়েস্টার্ন মেরিনের কর্ণধার প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, ওয়ার্ড কমিশনার সালেহ্ আহমেদ ও হাসান মুরাদ বিপ্লব, বাংলদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান চৌধুরী, এসএস ট্রেডিং এবং টিএস ড্রেজিং-এর পিআর এডভাইজার সাহেলা আবেদিন।
জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ৮০০০ যাত্রী চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন করেন। যাত্রীদেরকে প্রচ- যানজট উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিমানবন্দর যাতায়াত করতে হয়।
এসএস ট্রেডিং-এর এমডি সাব্বাব জানান, বিমান যাত্রীদের নিরাপদে ও ৩০ মিনিটের মধ্যে বিমান বন্দরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ বিকল্প ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ২ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ওয়াটার বাস সদরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত যাত্রীদের আনা-নেয়া করবে। প্রতিটি ওয়াটার বাসের ধারণ ক্ষমতা ৩০ জন। ২ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস রয়েছে যা পতেঙ্গা জেটি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যাত্রীদের আনা-নেয়া করবে। বিমানবন্দরের ফ্লাইটের সাথে সমন্বয় রেখে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এ সার্ভিস চালু থাকবে।
সাব্বাব বলেন, এছাড়া সদরঘাটে একটি অত্যাধুনিক শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত দ্বিতল টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে যেখানে যাত্রীদের জন্য ওয়েটিং লাউঞ্জের ব্যবস্থা রয়েছে। যাত্রীরা তাদের লাগেজ কাউন্টারে জমা দিলে ওয়াটারবাস কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে তাদের লাগেজ চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর এবং বিমানবন্দর থেকে সদরঘাট পৌঁছে দেবে। প্রকল্পটি শিগগির চালু হবে বলে জানিয়েছে কতৃর্পক্ষ।
বাসস/কেএস/২১১০/-এসই