বাসস দেশ-৩২ : ডব্লিউএফপি’র শুভেচ্ছা দূত হেন্দ সাবরি’র রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন

447

বাসস দেশ-৩২
ডব্লিউএফপি-রোহিঙ্গা-দূত
ডব্লিউএফপি’র শুভেচ্ছা দূত হেন্দ সাবরি’র রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন
কক্সবাজার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : আরব চলচ্চিত্র ও টিভি তারকা এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডাব্লিউএফপি) শুভেচ্ছা দূত হেন্দ সাবরি আজ কক্সবাজারে দশ লাখ রোহিঙ্গার আশ্রয়স্থল বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন।
সাবরি বলেন, ‘আমি এটি দেখাতে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছি যে, দুর্ভোগের কোনো সীমানা নেই, মানবতার কোনো সীমান্ত নেই।’
তিনি বলেন, আমি আজ রোহিঙ্গা মহিলাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি যারা তাদের পরিবারের প্রধান হয়েছেন এবং মানবতার অন্যতম কঠিন পরিস্থিতিতেও তাদের সন্তানের সেরার চেষ্টাটি করছেন। তারা অনেক কিছু হারিয়েছেন তবে এখনও আশাবাদী এবং ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় রয়েছেন। তাদের কাহিনী হৃদয়বিদারক এবং তাদের সহনশীলতা অনুপ্রেরণামূলক।
ডাব্লিউএফপি’র আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবরি খাদ্য বিতরণ, শিশুদের জন্য পুষ্টি পরিষেবা এবং মহিলাদের জন্য স্বনির্ভরতা সৃষ্টির দক্ষতা প্রশিক্ষণসহ ডাব্লিউএফপি পরিচালিত একাধিক প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
শুভেচ্ছা দূত বলেন, ডাব্লিউএফপি কেবল পরিবারের খাদ্য চাহিদা পূরণ করছে না, তারা ক্ষুদ্র কৃষক এবং খাদ্য উৎপাদকদের পণ্য বিক্রয়স্থল তৈরি করে স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। এই কার্যক্রম যেমন জীবন বদলে দেওয়ার, তেমন জীবন বাঁচানোরও।
সহানুভূতি কারো নিজস্ব সীমান্তে থেমে থাকা উচিত নয়। আমি যে অঞ্চলে বাস করি সেখানকার অনেক সংকট দেখেছি এবং লেবানন ও জর্দানের বাস্তুচ্যুত ইরাকি, সিরিয়ান শরণার্থীদের কাছ থেকে আমি প্রথম শুনেছি, আমি আমার সীমানার বাইরে যারা কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের প্রতি এই সহমর্মিতা জানাচ্ছি।
২০১০ সালে ডাব্লিউএফপি’র শুভেচ্ছা দূত নিযুক্ত হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের বাইরে এটি সাবরির প্রথম মিশন। বাংলাদেশের আগে তিনি মিশর, তিউনিসিয়া, জর্দান, লেবানন, ফিলিস্তিন এবং সিরিয়ায় ডাব্লিউএফপি’র কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
বাসস/সবি/অনু-এসই/২১২৫/এইচএন