নীলফামারীতে পাটের ভালো ফলনের সম্ভাবনা

507

নীলফামারী, ১ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : জেলায় এবার পাটের আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ১৫৯ হেক্টর জমিতে। এতে পাটের উপাদন হবে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন । পাটের নানাবিধ ব্যবহার বাড়ায় দিন দিন কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে পাট চাষে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্র জানায়, জেলায় এবার পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে। সেখানে অর্জিত হয়েছে ৯ হাজার ১৫৯ হেক্টর জমি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫৩১ মেট্রিকটন। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কিছুটা ঘাটতি থাকলেও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার সমপরিমান পাট উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওই সূত্র আরো জানায়, গত বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে। অর্জিত হয় ৯ হাজার ১৬০ হেক্টর । আবাদের ওই পরিমাণ জমিতে ২০ হাজার ৬২৯ মেট্রিকটন পাট উৎপাদন হয়েছিল। সে তুলনায় এবারো প্রায় সম পরিমান জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।
জেলা সদরের টুপামারি ইউনিয়নের দোগাছি গ্রামের কৃষক মমতাজ আলী (৫৫) বলেন,‘কিছুদিন আগে পাটের ব্যবহার তেমন ছিল না। এখন ব্যবহার বাড়ায় পাটের নায্য দাম পাচ্ছে কৃষক। একারণে পাট আবাদে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের।’
জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক অমল চন্দ্র রায় (৪৫) বলেন,‘পাট এক সময়ে কৃষকদের অর্থকরী ফসল ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে পলিথিনের প্রভাবে পাটের ব্যবহার কমায় হারিয়ে যায় কৃষকের সেই অর্থকরী ফসল। এখন আবারো পাটের ব্যবহারে চাহিদা বেড়েছে। ফলে কৃষকরা পাট আবাদের দিকে মনোনিবেশ করেছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সরকার খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্য বাজারজাত করণে পরিবেশ বান্ধব পাটের বস্তা ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি সচেতন মানুষের মধ্যে পাটের ব্যবহার বেড়েছে। পাটের চাহিদা বাড়ায় বাজার দর বেড়েছে। ফলে পাট চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা।’