বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : সরকার জনগণের মধ্যে ব্যাংক ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করেছে : প্রধানমন্ত্রী

486

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-বিএবি কম্বল
সরকার জনগণের মধ্যে ব্যাংক ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করেছে : প্রধানমন্ত্রী

বেসরকারী ব্যাংকগুলোকে সিএসআর কর্মসূচির আওতায় সহযোগিতার হস্তকে প্রসারিত করায় প্রধানমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘সরকার বিপন্ন মানবতার জন্য সহযোগিতা দিচ্ছে। কিন্তু আপনারা এগিয়ে এলে তাঁরা আরো বেশি লাভবান হবে।’
দেশের জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থার ক্রমশ উন্নয়নের প্রসংগ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে তাঁদের জন্য আর কোন সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একদিন এ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তা করে যেতে পারেন নি। তবে, আমি তাঁর অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব নিয়েছি।’
বিগত প্রায় এক দশকে বাংলাদেশের চমকপ্রদ উন্নয়নের প্রসংগ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
‘দেশের অর্থনীতি এখন আন্তর্জাতিকভাবেও ভীষণ শক্তিশালী, এখন আর কেউ বাংলাদেশকে অবহেলার চোখে দেখে না,’বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘ তাঁর সরকার ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে এবং এখন ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কথা মাথায় রেখে এবং সর্বোপরি আগামী প্রজন্মের একটি সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য ‘ডেল্টা পরিকল্পনা’ও গ্রহণ করেছে।
অনুষ্ঠানে বিএবি চেয়ারম্যান জানান, আগামী বছর অনুষ্ঠেয় জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনকে সামনে রেখে বেসরকারী ব্যাংকগুলো নিজ নিজ ব্যাংকে একটি ‘মুজিব কর্ণার’ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএবি রাজশাহী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে এবং একইসঙ্গে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনেও ব্যাপক অনুষ্ঠানমালা হাতে নিয়েছে।’
অনুষ্ঠানে ডাচ বাংলা ব্যাংকের পক্ষ থেকে কম্বল কেনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।
বিএবি’র সদস্য ৩৬টি বেসরকারী ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এবং পরিচালকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে, প্রধানমন্ত্রী গত সাধারণ এবং উপজেলা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালীন নিহত আনসার ও ভিডিপি’র পরিবারের সদস্য এবং দলের কিছু নেতা-কর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের মধ্যে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
বাসস/এসএইচ/অনু-এফএন/২৩৩৫/কেকে