বিএনপির দুর্নীতিবাজ ও অপকর্মের সাথে জড়িতদের এখনো ধরা হয়নি : তথ্যমন্ত্রী

610

চট্টগ্রাম, ১ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির দুর্নীতিবাজ ও অপকর্মের সাথে জড়িতদের এখনো ধরা হয়নি বলে তারা হয়তো চলমান শুদ্ধি অভিযানকে আইওয়াশ বলছেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের দলের অনেকেই নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। সেই তালিকাও সরকারের কাছে আছে। প্রধানমন্ত্রী আগে আমাদের দল থেকেই শুরু করেছেন’।
তথ্যমন্ত্রী আজ চট্টগ্রাম ডিসি হিল প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে চলমান শুদ্ধি অভিযানে নিয়ে বিএনপির ‘সরকারের আইওয়াশ’ মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতৃবৃন্দকে নিজেদের চেহারাগুলো একটু আয়নায় দেখার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে বুঝতে পারবে এটি কোন দল মতের বিষয় নয়, এটি হচ্ছে যারা প্রকৃতপক্ষে অনিয়ম অনাচারের সাথে যুক্ত আছে তাদের সবার বিরুদ্ধে অভিযান।
প্রকৃতপক্ষে ক্যাসিনোসহ যারা নানা ধরণের অনিয়ম অনাচার ও অপকর্মের সাথে জড়িত আছে তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সারাদেশে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকায় চট্টগ্রাম সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী একটি প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, সেটি যাচাই বাছাই করে এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে সেগুলো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন, যারা অপকর্মের সাথে যুক্ত, অন্যদলে থাকাবস্থায় আমাদের দলের নেতাকর্মীদের উপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়েছে, দখলবাজসহ নানা অনিয়ম অপকর্মের সাথে যুক্ত ছিল তাদেরকে আমাদের দলে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। তাদেরকে নেতৃত্বের আসনে বসানোর কোন প্রশ্নই আসেনা।
এর আগে চট্টগ্রাম ডিসি হিল প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি পরিচালিত চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের শুভ কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মমত্ববোধ সৃষ্টি করা। মানুষের প্রতি দয়া ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা সকল ধর্মেই আছে। বৌদ্ধ ধমের্ও সমস্ত জীবের প্রতি দয়ার কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সকলে নিজ নিজ ধর্মের মূল মর্মবাণী অনুসরণ করি অনুশীলন করি তাহলে পৃথিবী অনেক শান্তিময় হতো।’
রাঙ্গুনিয়া কুলকুরমাই সদ্ধর্মোদয় বিহারের অধ্যক্ষ শাসনরত্ন ভদন্ত ধর্মসেন মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে কঠিন চীবর দানোৎসবে আশীর্বাদক ছিলেন বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্ব্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ড. ধর্মসেন মহাস্থবির, দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক বিভাজন করলে যাদের সুবিধা হয় সেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাঝে মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরী করে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালায়। তারই অংশ হিসেবে কক্সবাজারের রামু, ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নাসিরনগর, সাম্প্রতিক সময়ে ভোলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার সেগুলোকে কঠোর হস্তে দমন করেছে।
হাছান মাহমুদ আমাদের মধ্যে যে সম্প্রীতি সৌহার্দ্য আছে সেটিকে আরো সংহত করার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।