বাসস দেশ-২৪ : ডয়িং বিজনেস সূচকে ৮ ধাপ অগ্রগতিকে বড় অর্জন বলছেন ব্যবসায়ীরা

144

বাসস দেশ-২৪
ডয়িং বিজনেস-প্রতিক্রিয়া-ব্যবসায়ী
ডয়িং বিজনেস সূচকে ৮ ধাপ অগ্রগতিকে বড় অর্জন বলছেন ব্যবসায়ীরা
ঢাকা, ২৪ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস): ব্যবসা সহজ করার সূচকে বাংলাদেশের ৮ ধাপ অগ্রগতিকে বড় অর্জন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, বৈশ্বিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণে এই অগ্রগতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বব্যাংক ইজ অব ডুয়িং বিজনেস রিপোর্টে ২০২০ প্রকাশ করে। সেখানে সহজে ব্যবসা করার সূচক অনুযায়ী এ বছর ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৮তম। গতবার যা ছিল ১৭৬তম। সেই হিসেবে বাংলাদেশ এবার সূচকে ৮ ধাপ এগিয়েছে।
ব্যবসা করার সূচকে বাংলাদেশের এই অগ্রগতি নিয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি(ডিসিসিআই)’র সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান বাসস’কে বলেন,এটা অব্যশই আমাদের জন্য বড় সুখবর। ব্যবসা সহজ করার বিষয়ে সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছিল। এর উন্নতির জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। এর প্রতিফলন এবার দেখা যাচ্ছে। এই অগ্রগতি বৈশ্বিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্যদে তিন দফা সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী এই ব্যবসায়ী নেতা আরো বলেন, সহজে ব্যবসা করার সূচকে আমরা একবারে পেছনের সারির দেশ ছিলাম। এটা নিয়ে আমরা বার বার অভিযোগ করেছি। সরকার সেটা শুনেছেন। কাজও করেছেন। এবার তার অগ্রগতি দেখছি। তবে আরো উন্নতির জন্য চলমান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবার ৮ ধাপ অগ্রগতি করলেও আমরা কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে আছি। তাই এক্ষেত্রে আমাদের কাজ করার আরো অনেক জায়গা আছে। তিনি চলমান কর্মসূচি অগ্রাধিকারভিত্তিতে বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন,অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করলে আগামীবছর আমরা সূচকে আরো ১০ থেকে ২০ ধাপ এগিয়ে যেতে পারব।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সহসভাপতি মো. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, সহজে ব্যবসা করার সূচকে উন্নতির জন্য সরকারের রাজনৈতিক ভিশন ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার গত ১০/১১ বছর ধরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং জ্বালানীখাতের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করেছে। সেটার ফল আমরা এখন পাচ্ছি। বিশ্বব্যাংকের ইজ অব ডয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে ব্যবসায়ীরা আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে বলে তিনি জানান।
বিজিএমইএর সাবেক এই সভাপতি বলেন,যেকোন দেশের উন্নতির জন্য জ্বালানী এবং বিদ্যুৎ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।এক সময় ছিল যে, বিদ্যুৎ পাওয়া যেতো না। এখন বিদ্যুতের কোন সমস্যা নেই। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সহজে ব্যবসা করার সূচকে উন্নতির ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দেশের সব বন্দর অন্যান্য রাজস্ব অফিসকে পুরোপুরি অটোমেশনের আওতায় আনতে হবে।সব বন্দরে পর্যাপ্ত স্ক্যানারের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে ব্যবসায়ীদের সময় ও খরচ কমে যাবে। দূর্নীতি ও হয়রানিও রোধ করা সহজ হবে।
উল্লেখ্য, এবারের প্রতিবেদনে শীর্ষ স্থানে আছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে সিঙ্গাপুর ও হংকং।
বাসস/এএসজি/আরআই/১৮৫৫/-আসাচৌ