বাসস দেশ-২৫ : কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম স্থাপনে সেতু কর্তৃপক্ষ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

235

বাসস দেশ-২৫
সমঝোতা – স্মারক
কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম স্থাপনে সেতু কর্তৃপক্ষ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ২৩ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অব্যবহৃত জমিতে একটি কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রাজধানীর বনানীস্থ সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে আজ বুধবার দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ রেজাউল হায়দার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এমএন্ডকিউ পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মামুন অর রশিদ নিজ-নিজ সংস্থার পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর শেষে সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ৫, ৬, ১২ এবং ১৩ নং ব্লকে সর্বমোট ২১৫৮ দশমিক ৫৩ একর জমি ব্যবহার অধিকার হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করার পর প্রাথমিকভাবে ১২ এবং ১৩ নং ব্লকে একটি কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম পর্যায়ক্রমে স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন,উক্ত প্রকল্পে প্রায় সাত হাজার প্রাণীর একটি ডেইরি ফার্ম স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিদিন আনুমানিক পঞ্চাশ হাজার থেকে ষাট হাজার লিটার দুগ্ধ উৎপাদন করা যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গরুর ফার্ম স্থাপনের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখ চল্লিশ হাজার কেজি গরুর মাংস উৎপাদিত হবে। তিনি জানান,কম্পোজিট মিলিটারি ফার্মে একটি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করে ষাঁড়, গরু, ষাঁড় মহিষ এবং পুরুষ ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের সীমেন কৃত্রিম উপায়ে সংগ্রহ করে ফ্রোজেন করা হবে, যা পরবর্তীতে অন্যান্য মিলিটারি ফার্ম এবং বাংলাদেশের কৃষক ও খামারিদের কাছে সম্ভাব্য স্বল্প মূল্যে সরবরাহ করা হবে। সার্বিকভাবে ডেইরি ফার্ম, বীফ ফার্ম, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ফার্ম, মহিষ ফার্ম এবং ব্রীডিং সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে মান সম্মত দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদন করাও সম্ভব হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ফার্মটি স্থাপিত হলে স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকার সমস্যা দূরীকরণ এবং সর্বোপরি জাতীয় উৎপাদনে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখা সম্ভব হবে।
সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ,পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস, ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন খানসহ সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৯৪০/এইচএন