উন্নত বিশ্বের সাথে তালে তাল মিলিয়ে আমরা এগিয়ে চলছি : অধ্যাপক নাসিরউদ্দীন

2185

ঢাকা, ২৮ জুন, ২০১৮ (বাসস) : রাজধানীর সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপূর্ব শিক্ষাবিষয়ক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নাসিরউদ্দীন মিতুল বলেছেন, ‘উন্নত বিশ্বের সাথে তালে তাল মিলিয়ে আমরা এগিয়ে চলছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশে-বিদেশে নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছে।’
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান পেশায় আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।’
সেমিনারে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন স্টাডিজ অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্টের চেয়ারপারসন ড. দিলারা বেগম তার বক্তব্যে বাংলাদেশে গ্রন্থাগার পেশার উন্নয়নে এ ধরনের আয়োজনের প্রশংসা করেন।
গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান পেশাকে সমৃদ্ধকরণের লক্ষ্যে ‘কোলাবোরেশন অ্যান্ড নলেজ শেয়ারিং: এনরিচিং এলআইএস এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড প্রফেশনস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে বুধবার রাজধানীর সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অডিটরিয়ামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও দ্য লাইব্রেরিয়ান টাইমসের যৌথ উদ্যোগে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এ সেমিনারে দু’টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। প্রথম প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ডোমিনিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইনফরমেশন স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. হাসান জামির। ‘লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স এডুকেশন: দি ইউএসএ পারস্পেকটিভ’ শিরোনামে তিনি তার প্রবন্ধে আমেরিকা’র গ্রন্থাগার শিক্ষা ও পেশার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তিনি আমেরিকায় গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে ইচ্ছুক বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া, যোগ্যতা ও স্কলারশিপ লাভের বিভিন্ন খুঁটিনাটি দিক তুলে ধরেন।
দ্বিতীয় প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি তার ‘পোটেনশিয়াল সাউথ এশিয়া (এসএ) চ্যাপটার ইন এএসআইএসঅ্যান্ডটি : হোপ ফর এলআইএস কমিউনিটিজ ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রবন্ধে পেশাগত উন্নয়নে ‘দি এএসআইএসঅ্যান্ডটি’ সংস্থাটির ভূমিকাসহ প্রকাশনা, গবেষণা, নেটওয়ার্কিং প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরেন।
সেমিনারে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী, গবেষক, পেশাজীবী ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে অনলাইনে সরাসরি কয়েকজন গ্রন্থাগারবিজ্ঞানী এতে অংশ নেন।