আগামী ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় মাছ ধরা নিষেধ

250

লক্ষ্মীপুর, ৯ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : আশ্বিনী পূর্ণিমায় মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার জন্য আজ ৯ অক্টোবর থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২ দিন নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ফলে মেঘনা নদী উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার নদী এলাকায় মাছ ধরা যাবে না। এসময় মাছ শিকার, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ আইন আমান্য করলে জেল-জরিমানা অথবা উভয় দ-ের বিধান রয়েছে।
এ বিষয়ে গত কয়েকদিন জেলা মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের উদ্যোগে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যানার-ফেস্টুন ও লিফলেট বিতরণ, মাইকিং এবং বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করা হয়েছে। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জন্য ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। আগামী ২২ দিনের জন্য প্রতি পরিবারকে ২০ কেজি করে জেলায় সর্বমোট প্রায় ৭৩৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হবে। জেলা সদর, রায়পুর, কমলনগর ও রামগতির নিবন্ধিত ৩৭ হাজার ৩২৬ টি জেলে পরিবার এসব চাল পাবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্লাহ বাসসকে বলেন, ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত আগামী ২২ দিন নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এসময় প্রজনন নিরাপদ করে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাছ শিকার, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ। এ আইন অমান্য করলে সর্ববোচ্চ ২ বছরের জেল ও ৫ হাজার টাকা অর্থদ-সহ শাস্তির বিধান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নদী, মাছঘাট, বাজার ও জনবহুল স্থানে সভা-সমাবেশ, লিফলেট বিতরণ, ব্যানার-পোস্টারিং ও মাইকিং করে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। তাছাড়া নিষিদ্ধ সময়ে জেলে পরিবার গুলোর জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে সরকার।