বাসস দেশ-২৮ : বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জনসচেতনতার জন্য গণমাধ্যমকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে

248

বাসস দেশ-২৮
গোলটেবিল-আলোচনা
বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জনসচেতনতার জন্য গণমাধ্যমকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে
ঢাকা, ৬ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জনসচেতনতার জন্য গণমাধ্যমকে আরো
সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহবান জানানো হয়েছে।
আজ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে আয়োজিত “বজ্রপাতজনিত ভয়াবহতা মোকাবেলায় করণীয়” শীর্ষক এক গোল টেবিল আলোচনায় বক্তারা এই আহবান জানান।
ঢাকার কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে সংগঠনের সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সঞ্চালনায় অতিথি আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান। বিষয়ের উপর পৃথক ২টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিইবি’র রিসার্চ ফেলো মো. ইয়াকুব হোসেন শিকদার ও মো. মনির হোসেন।
প্রবন্ধে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভয়াবহভাবে বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে বজ্রপাতজনিত ভয়াবহতা ব্যাপকভাবে বিশ্ববাসীকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। বজ্রপাতের কারণে ব্যাপক জানমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জনসচেতনতাই প্রধান নিয়ামক শক্তি হতে পারে।
বক্তারা বলেন, বজ্রপাতের আগাম সংকেত ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা গেলে উদ্বেগজনক প্রাণহানির হার কমিয়ে আনা সম্ভব। এ প্রক্রিয়ায় (ক) প্রতিদিন সকালে আবহাওয়ার বার্তা পর্যবেক্ষণ করা, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকলে ঘন ঘন পর্যবেক্ষণ করা। (খ) পূর্ব প্রস্তুতি সম্পর্কে শ্রমিকদের অবহিতকরণ। (গ) কর্মস্থলের নিকটবর্তী নিরাপদ স্থান চিহ্নিতকরণ করে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা অপরিহার্য।
বক্তারা আরো বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও বিকাশমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রেক্ষিতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির বহুমাত্রিক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে ক্রমেই বজ্রপাতের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশংকাজনক হারে ঘটছে প্রাণহানি।
উপস্থাপিত প্রবন্ধে বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ২২টি সুপারিশ করা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-হাওড় অঞ্চলে সুরক্ষা জোন তৈরি করা, বিদ্যুতের এইচপিসি পোল, কাঠের খুঁটি, ইস্পাত টাওয়ার ইত্যাদিতে আর্থিং করার সময় অবশ্যই ডাউন কন্টান্ডটর/ আর্থ কন্ট্রিনিউটি ওয়্যার ব্যবহার করা, বজ্রপাত সম্পর্কিত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি পাঠ্যপুস্তুকে অন্তর্ভুক্ত করা।
বাসস/সবি/এমএআর/১৯৫৬/এএএ