বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ : শিশুদের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও সচেতন নাগরিদের এগিয়ে আসতে হবে : শেখ হাসিনা

163

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২
প্রধানমন্ত্রী -বাণী
শিশুদের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও সচেতন নাগরিদের এগিয়ে আসতে হবে : শেখ হাসিনা
ঢাকা, ৬ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাসহ সকল সচেতন নাগরিককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ আহবান জানান।
আজকের শিশুরাই আগামীতে দেশের নেতৃত্ব দিবে এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,‘আমরা দেশের সকল শিশুর সমঅধিকার নিশ্চিত করে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন,শিশুর সার্বিক বিকাশ ও অধিকার বাস্তবায়নে এবং শিশুদের প্রতি সহিংস আচরণ ও নির্যাতন বন্ধে পিতা-মাতা, পরিবার ও সমাজের সকলকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামীকাল (৭ অক্টোবর) ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৯’ পালন করা হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশুকে এ উপলক্ষে আন্তরিরক অভিনন্দন জানান। শেখ হাসিনা মনে করেন, বিশ্ব শিশু দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘আজকের শিশু আনবে আলো, বিশ্বটাকে রাখবে ভালো’ অত্যন্ত সময়োপযোগি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে উল্লেখ করেন,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে ‘শিশু আইন’ প্রণয়ন করেন।
বাংলাদেশ জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের অন্যতম অনুস্বাক্ষরকারী দেশ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘আমরা জাতীয় শিশুনীতি-২০১১ প্রণয়ন করেছি’।
শেখ হাসিনা বলেন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিনোদন ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন,‘আমরা শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০, শিশু আইন- ২০১৩ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩ প্রণয়ন করেছি। পথশিশু, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশু, বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া ও প্রতিবন্ধী শিশুদের কল্যাণে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছি। পরিত্যক্ত শিশুদের সেবা ও ভাতা প্রদান, পথশিশুদের পুনর্বাসনসহ তাদের জীবনমান উন্নত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। শিশুর শিক্ষা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে স্কুল টিফিন, শিশুর জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’ শেখ হাসিনা বলেন,এসবের পাশাপাশি, বর্তমান সরকার হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল শিশুদের জন্য শিশু বিকাশ কেন্দ্র কার্যক্রম প্রসারণ এবং চা-বাগান ও গার্মেন্টস কর্মীদের শিশুদের জন্য ডে-কেয়ার স্থাপন ও পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের শিশুদের আগামী নেতৃত্বের জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারা সক্ষম হবেন।
শেখ হাসিনা বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৯’র সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/জেডআরএম/১৭২০/-শআ