আইনী ব্যবস্থা ছাড়া খালেদার মুক্তির অন্য কোন পথ নেই : তথ্যমন্ত্রী

426

ঢাকা, ৩ অক্টোবর, ২০১৯ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ পুনরায় বলেছেন, একমাত্র বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব।
তিনি তাঁর সচিবালয়স্থ অফিসে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘একটি দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রী কারাগারে রয়েছেন এবং কেবলমাত্র আদালতই তাকে মুক্তি দিতে পারে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সবসময় হুমকি দেয় যে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তারা আন্দোলন গড়ে তুলবে। কিন্তু তার মুক্তি আদালতের ব্যাপার এবং অন্য কোন পথ নেই।’
তিনি বলেন, বিএনপি গত সাড়ে ১০ বছরে কোন আন্দোলন করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন করতে চাই- যেহেতু আইনী প্রক্রিয়া ছাড়া বেগম জিয়াকে মুক্ত করার কোন বিকল্প নেই। অতএব তাকে মুক্ত করতে নেতারা কোন পথে যাবেন।’
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘আমরা দেখছি তারা (বিএনপি নেতারা) তাকে মুক্ত করতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিএনপির সংসদ সদস্যরা কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তারা বলেছেন যে, তারা চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠাবেন। প্রথমে মুক্তি বিষয়ে সমাধানে পৌঁছতে হবে এবং পরে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি কোথায় যাবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়া কোন রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার হয়নি এবং তিনি রাজবন্দি নন।

তিনি বলেন, ‘অতীতে অনেক রাজনৈতিক নেতা রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার হয়েছেন। ওইসব নেতৃবৃন্দের মুক্তির জন্য আন্দোলনও হয়েছে। কিন্তু বেগম জিয়ার বিষয়টি তেমন নয়। এতিমদের টাকা মেরে খাওয়ার কারণে দুর্নীতির মামলায় তিনি জেলে রয়েছেন।’
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ব্যাপারে সম্প্রতি উইকিলিক্সের প্রকাশিত তথ্য সম্পর্কে ড. হাছান বলেন, ওই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারেক রহমান এবং এ ব্যাপারে বেগম জিয়া ভালভাবেই অবগত ছিলেন। তিনি আরো বলেন, আদালতেও বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘তৎকালীন সরকার প্রধানের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এ ধরনের হামলা চালানো সম্ভব হতো না।’
তিনি বলেন, এই হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। তিনি আরো বলেন, ‘এখন আমি বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন করতে চাই যে, উইকিলিক্সের তথ্য সম্পর্কে তারা কি বলবেন।’
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সম্পর্কে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন সবগুলো সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তাদের অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে। এটি আসলেই দেশের জন্য একটা আনন্দের খবর।
তিনি বলেন, বিটিভির ৪টি চ্যানেল কয়েক মাস আগে থেকেই নিরবচ্ছিন্নভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে তাদের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
পূর্ণাঙ্গ সার্ভিস প্রদানের জন্য বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ৪৫টি টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স প্রদান করলেও দেশে ৩৫টি টিভি চ্যানেল চালু রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয়।
ড. হাছান বলেন, দেশের সম্প্রচার মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের স্বার্থে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এসব উদ্যোগ গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে।
তিনি আরোব বলেন, সম্প্রচার মাধ্যমকে পর্যায়ক্রমে ডিজিটালাইজ করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
ব্রিফিংকালে তথ্য সচিব আবদুল মালেক উপস্থিত ছিলেন।