নড়িয়ার ভাঙ্গন ঠেকাতে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে : পানিসম্পদ উপমন্ত্রী

307

শরীয়তপুর, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, শরীয়তপুরের নড়িয়ার ভাঙ্গন ঠেকাতে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে, ধৈর্য্য ধরুন সরকার আপনাদের পাশে আছে।
তিনি আজ শুক্রবার তার নিজ সংসদীয় এলাকা নড়িয়ায় নদী ভাঙ্গন পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
এসময় নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম ইসমাইল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তী রূপা রায়, শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, নড়িয়ার নদীভাঙ্গন রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, পদ্মা নদী বেষ্টিত নড়িয়া অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ ভাঙ্গন প্রবন এলাকা। গত বর্ষায় পদ্মার ভাঙ্গনে নড়িয়ার ৫ হাজার ৮১ পরিবার গৃহহীন হয়েছিল। বিষয়টিকে মাথায় রেখে আমরা এ বছর ২৮ লাখ জিওব্যাগ ডাম্পিং করার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত ৩৩ লাখ জিওব্যাগ ডাম্পি করা হয়েছে। তার পরেও গতকাল বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে রক্ষা বাঁধের ২০৭ মিটার এলাকা ও ৮ থেকে ১০টি ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম বলেন, নদী ভাঙ্গনের খবর পেয়ে দ্রুত আজ আপনাদের পাশে ছুটে এসেছি। আপনারা বিপদে ধৈর্য্য ধরুন, সরকার এবং আমরা আপনাদের পাশে আছি, ইনশাআল্লাহ নড়িয়ার মানুষ বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
উল্লেখ্য, বর্ষার শেষ দিকে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে নড়িয়ায়। গত ২৪ ঘন্টায় নড়িয়ার কেদারপুর ইউনিয়নের বুন্না গ্রামের সাধুর বাজার এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেয়।
এতে ১টি মসজিদ, ১টি মক্তব, ১টি পাকা দালানসহ ১৩ টি পরিবারের ঘর-বাড়ী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। একই সাথে পদ্মার ডান তীর রক্ষাবাঁধের ২৮০ মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে আরও অর্ধশতাধিক পরিবার।ভাঙ্গন কবলিতরা তাদের সহায় সম্বল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ ও ১০০ পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।