ফ্রান্সের সঙ্গে ড্র করে শেষ ষোলোতে ডেনমার্ক

796

মস্কো (রাশিয়া), ২৬ জুন ২০১৮ (বাসস) : ফ্রান্সের সাথে গোলশূন্য ড্র করে ‘সি’ গ্রুপের রানার্স-আপ হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে উঠলো ডেনমার্ক। ২০০২ সালের পর আবারো শেষ ষোলেতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো ডেনমার্ক। এই গ্রুপ থেকে ৩ খেলায় ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্স। ৩ খেলায় ৫ পয়েন্ট অর্জন করে গ্রুপ রানার্স-আপ হয় ডেনমার্ক। একই গ্রুপের অন্য ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে পেরু। সি গ্রুপের গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ শেষ ষোলোতে মুখোমুখি হবে ‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দলের।
প্রথম দু’ম্যাচ জিতে আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করে রাখে ফ্রান্স। তাই ‘সি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোতে যাবার সুযোগ থাকে ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়ার। ফ্রান্সের সাথে জিতলে বা ড্র করলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে যাবে ডেনমার্কের। এমন সমীকরণ নিয়ে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে ডেনমার্ক।
নির্ভার হয়ে খেলতে নামা ফ্রান্স প্রথমার্ধে চাপে রেখেছিলো ডেনমার্ককে। মধ্যমাঠ দখলে নিয়ে প্রতিপক্ষের সীমানায় আক্রমন করেছে ফরাসিরা। বল দখলেও পারদর্শী ছিলো তারা। ফলে নিজেদের রক্ষণদূর্গ সামলাতেই ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে ডেনমার্ক।
১৫ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলো ফ্রান্স। রক্ষণভাগের খেলোয়াড় লুকাস হার্নান্দেজের পাস থেকে ডি-বক্স থেকে শট নিয়েছিলেন স্ট্রাইকার অলিভার গিরুদ। কিন্তু তার শটটি গোলবার ঘেষে বাইরে চলে যায়।
৩৯ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ তৈরি করে ফ্রান্স। কিন্তু এবার সুযোগ হাতছাড়া করেন স্ট্রাইকার আতোয়োন গ্রিজম্যান। আক্রমনভাগের আরেক খেলোয়াড় ওসমানে ডেম্বেলের যোগান দেয়া বলে ডেনমার্কের গোলমুখে শট নিয়েছিলেন গ্রিজম্যান। কিন্তু সেই শট দক্ষতার সাথে রুখে দেন ডেনমার্কের গোলরক্ষক ক্যাসপার শেমিচেল। এই অর্ধে বলার মত কোন আক্রমণ করতে পারেনি ডেনমার্ক। কারন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে বলই রাখতে পারেনি তারা। ম্যাচের প্রথমার্ধে ৭০ শতাংশ বল ছিলো ফ্রান্সের দখলে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে খেলার চিত্র পাল্টানোর চেষ্টা করে ডেনমার্ক। পরিকল্পনা বদলে ফ্রান্সের উপর চাপ সৃষ্টি করে তারা। ৫৯ মিনিটে মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান এরিকসনের শট গোলবারের পাশ ঘেষে যায়। ফলে এ যাত্রাতেও গোল বঞ্চিত হয় ডেনমার্ক।
৪ মিনিট পর মিডফিল্ডার ভিক্টর ফিশচারের দূর পাল্লার প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার গায়ে লাগে। ফলে এবারও গোল আদায় করে নিতে পারেনি ডেনমার্ক।
ম্যাচের শেষদিকে ভালো একটি আক্রমণ করেছিলো ফ্রান্স। ৮২ মিনিটে স্ট্রাইকার নাবিল ফেকিরের বল নিয়ে ডেনমার্কের ডি-বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি ছিলো দুর্বল শট। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়।