কাশ্মীর ভারতের অংশ, এনআরসি অভ্যন্তরীণ বিষয় : জয়শংকর

535

নয়াদিল্লী, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১০ (বাসস) : ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেছেন, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ এবং একদিন কাশ্মীরের ওপর তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, কাশ্মীর প্রশ্নে আমাদের অবস্থান খুবই পরিস্কার। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের ধারণা একদিন এই কাশ্মীরের ওপর ভারতের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি তার সরকারের একশত দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার এখানে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকরের এই বক্তব্যে কয়েক ঘন্টা পরেই পাকিস্তান তার এই বক্তব্যে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন এবং বক্তব্যটি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়াবে এবং শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মারাত্মক অচলাবস্থার সৃষ্টি করবে।
ইসলামাবাদে গতকাল সন্ধ্যায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক বিবৃতিতে আজাদ কাশ্মীরের ‘ফিজিক্যাল জুরিসডিকশন’ নিয়ে ভারতের আগ্রাসী মনোভাব গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। এর আগে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং , ভাইস প্রেসিডেন্ট এম ভেনকাইয়া নাইডু, কেন্দ্রিয় মন্ত্রী জীতেন্দ্র সিং অনুরূপ বক্তব্য দিয়ে কাশ্মীরকে ভারতেরই অবিচ্ছেধ্য অংশ বলে দাবি করেন।
এ মাসের শেষের দিকে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ সাধারন পরিষদের অধিবেশন চলাকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরোন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠক সম্পর্কে জয়শংকর সাংবাদিকদের বলেন, অপেক্ষা করুন, সময় হলে আপনারা আপনাদের প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন। তার এই বক্তব্যে মূলত কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের সাথে ভারতের বৈঠক অনুষ্ঠানের সম্ভাবনাকে নাকচ করেই দিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ৩৭০ ধারা কোন দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নয়। এই ধারাটি বাতিলের পরই প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই ধারায় জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছিল। ধারাটি বাতিলের পরই ভারত কাশ্মীরে অবস্থান নেয়। এতে নয়া দিল্লীর সঙ্গে ইসলামাবাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ইসলামাবাদে ভারতের হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করা হয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর সম্পর্কে জয়শংকর সুনিদিষ্ট করে বলেন, এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়, মোদি-হাসিনা বৈঠকে এ বিষয়টি আলোচনায় আসবে না। তিনি বলেন, এটি ভারতের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীন বিষয়, এটি কোন দ্বিপক্ষীয় বিষয় নয়। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, প্রতিটি রাষ্ট্রের নিজস্ব নাগরিকদের একটি তালিকা করার অধিকার রয়েছে। আসামে এই কাজটি করা হয়েছে। এটি ভারতের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীন বিষয়, এটি দ্বিপক্ষীয় বিষয় নয়।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার উপস্থিত ছিলেন।