রংপুরে ইউনিসেফের সহযোগিতায় শিশু বিকাশ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

669

রংপুর, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশ শিশু একাডেমি’র রংপুর অফিসের উদ্যোগে ও ইউনিসেফের সহায়তায় শিশুর বিকাশে প্রারম্ভিক শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় এক অ্যাডভোকেসি সভা আজ বৃহস্পতিবার রংপুর সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলমান ১০টি শিশু বিকাশ কেন্দ্র পরিচালনায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
আয়োজিত উক্ত সভায় শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশের সমন্বিত নীতি-২০১৩ অনুযায়ী বিস্তারিত আলাচনা হয়।
ইউনিসেফের শিক্ষা অফিসার সিফাত-ই-ইসলামের পরিচালনায় উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সৈয়দ এনামুল কবির।
অনুষ্ঠানে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ কামরুজ্জামান ইবনে তাজ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোশতাক আহমেদ, শিশু বিকাশ কেন্দ্রের শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও অভিভাবকগণ বক্তব্য রাখেন।
সভায় ইউনিসেফ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান নাজিবুল্লাহ হামীম তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, শিশু ভূমিষ্ট হয়ে শারীরিকভাবে বাড়তে থাকে এবং শারীরিক বৃদ্ধির পাশাপাশি তাঁর মানসিক, আবেগিক, সামাজিক ও আচরণগত দিকের পরিবর্তন ঘটতে থাকে।
প্রারম্ভিক শৈশবকাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা এই সময়েই মানব জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশের ভিত্তি তৈরি হয়। এসময় শিশুর ভিত্তি মজবুত হলে পরবর্তীকালে বৃদ্ধি ও বিকাশ সঠিকভাবে হয়।
নাজিবুল্লাহ হামীম শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশের সমন্বিত নীতি বাস্তবায়নের কর্মপদ্ধতি প্রতিষ্ঠা এবং যথাযথ বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
ইউনিসেফের শিক্ষা অফিসার সিফাত-ই-ইসলাম বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে চরম সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বেলায় প্রারম্ভিক শৈশবকালের যথাযথ যতেœর সুফল অনেক বেশি। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রতিকুলতার মাঝে সিটি কর্পোরেশনের বস্তি এলাকার শিশুরা যথাসময়ে উপযুক্ত স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও শিক্ষা বিষয়ক সেবা পায় না। প্রারম্ভিক শৈশবকালের গুরুত্ব এবং শিশু লালন-পালন পদ্ধতি সর্ম্পকে সচেতনতার অভাব দেখা যায়। এজন্য ইউনিসেফ বাংলাদেশের নগর এলাকার পিছিয়ে পড়া শিশুর বিকাশে প্রারম্ভিক শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলমান ১০টি শিশু বিকাশ কেন্দ্রে সহায়তা প্রদান করছে।
তিনি আরো বলেন, ‘শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশ শিশু উন্নয়নের একটি সমন্বিত ও সামগ্রিক ধারণা, যা পরিবার, কেন্দ্র ও বিদ্যালয়ভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে গর্ভাবস্থা থেকে আট বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর বেঁচে থাকার অধিকার, সুরক্ষা, যত্ন ও সর্বোচ্চ বিকাশলাভের অধিকার নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।’
উপস্থিত বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ পরিবার এবং কমিউনিটি পর্যায়ে শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশ জোরদারের লক্ষ্যে সামাজিক উদ্ধুদ্ধকরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন এর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে শিশু বিকাশ কেন্দ্রের পরিধি বাড়ানোর জন্য ইউনিসেফকে আরো বেশি সহায়তা প্রদানের জন্য আহ্বান করেন।