বাসস দেশ-২২ : মশা নিধনে ডিএনসিসি’র বাজেট বরাদ্দ ৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা

245

বাসস দেশ-২২
ডিএনসিসি-মশক-নিধন-বাজেট
মশা নিধনে ডিএনসিসি’র বাজেট বরাদ্দ ৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা
ঢাকা, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে মশা নিধনের জন্য ৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থ বছরের তুলনায় প্রস্তাবিত বাজেটে এই বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটে এখাতে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত নগর ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বাজেট ঘোষণায় এই তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, ডিএনসিসি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৩ হাজার ৫৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেছে।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বিগত যেকোন অর্থবছরের তুলনায় মশক নিধন কার্যক্রমে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এবারের বাজেটে এই খাতে ৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গতবারের বাজেটে এখাতে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। মৌলিক নাগরিক সেবা খাতসমূহের ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের সংশোধিত বরাদ্দের সাথে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বরাদ্দের তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে এবার বরাদ্দ বৃদ্ধির হার ১৮২ শতাংশ।’
মেয়র বলেন, ‘মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের বাজেটে মশক ঔষধ কেনার জন্য ৩০ কোটি টাকা, কচুরিপানা বা আগাছা পরিস্কার ও পরিচর্যা কাজে আড়াই কোটি টাকা, ফগার বা হুইল বা স্প্রে মেশিন পরিবহনের জন্য ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বিশেষ কর্মসূচির জন্য এক কোটি টাকা এবং আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, মশক নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞ পরামর্শের আলোকে ইতোমধ্যে অধিকতর কার্যকর মশার কীটনাশক প্রয়োগ শুরু করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ওয়ার্ড ডেঙ্গু সেল গঠন করে সচেতনতা সৃষ্টিতে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মশক নিধনে কীটনাশক প্রয়োগ কার্যক্রম মনিটরিং করার লক্ষ্যে আধুনিক ট্রাকিং পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র মশক নিধন কার্যক্রম সারা বছর চলমান থাকবে জানিয়ে বলেন, প্রয়োজনে এখাতে বরাদ্দ বাড়াবে সিটি করপোরেশন। এ সময় তিনি মশক নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন।
আমরা পরিকল্পিত ঢাকা গড়তে চাই উল্লেখ করে মেয়র আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখন সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেক চলমান চিরুনি অভিযান শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ৭৪ হাজার ৩৫৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার ৭৯০ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখন হাসপাতাল সমূহে ভর্তি রয়েছেন ৩ হাজার ৩৭১ জন রোগী।
বাসস/এএসজি/এমএন/১৯২০/এইচএন