পিরোজপুরে আইনগত সহায়তা আইনে শত শত বিচারপ্রার্থী উপকৃত হচ্ছে

189

পিরোজপুর, ১৭ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় আইনগত সহায়তা প্রদান আইনের সহায়তা নিয়ে শত শত অসচ্ছল বিচারপ্রার্থী উপকৃত হচ্ছে। পিরোজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০০ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০ প্রণয়ন করে আর্থিকভাবে অসচ্ছল সহায় সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচার প্রার্থী নারী পুরুষ শিশুকে আইনগত সহায়তা প্রদানের মহৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন শুরু করে।
পরবর্তী ২টি সরকার এ জনকল্যাণমূখী আইনটিকে অকার্যকর করে রাখলেও ২০০৯ সালে পর প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে এ পর্যন্ত ৬টি সংশোধনী এনে এ আইনটিকে একটি মানবতার আইনে পরিণত করেছে। ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত এ আইনের আওতায় পিরোজপুরে সহায়তা পেয়েছে ৫শত ১২জন বিচার প্রার্থী। একই সময় আইনগত সহায়তা আইনে ৩শত ৩৯টি মামলার নিম্পত্তি হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত পিরোজপুর জেলা জজ আদালত ভবনে অবস্থিত জেলা আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার জেলা কার্যালয়ে প্রাপ্ত আবেদন বিবেচনা করে ১শত ৫টি মামলায় সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় ১১০টি মামলার বিচার কাজ শেষ হওয়ায় বিচার প্রার্থীরা সীমাহীন ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ইউনিয়ন পর্যায়, উপজেলা পর্যায় ও জেলা পর্যায় আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটি রয়েছে। জেলা পর্যায়ে জেলা ও দায়রা জজ এ কমিটির চেয়ারম্যান। পিরোজপুরের বর্তমান জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আব্দুল মান্নান জেলা কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এ আইনের সুফল পাচ্ছে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন নারী-পুরুষ ও শিশু। এ আইনের সহায়তা পেয়ে উপকৃত হয়েছে এমনই এক গৃহবধূু ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী গ্রামের আলতাফ হোসেন এর কন্যা তহুরা বেগম জানান, পারিবারিক মামলা চালাতে যখন তিনি হিমশিম খাচ্ছিলেন এবং বিচার প্রাপ্তির আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন সে সময় আইনগত সহায়তা আইনের সহায়তা পেয়ে তিনি তার বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করতে পেরেছেন। আর ১জন বিচার প্রার্থী সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক গ্রামের তাপশী মন্ডল তার পিতার সম্পত্তিতে আইন সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠা মামলায় এ আইনগত সহায়তা আইনের সহায়তা নিয়ে মামলা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন এ সহায়তা না পেলে ন্যায় বিচার প্রাপ্তি থেকে তিনি বঞ্চিত হতেন।