বন্যা কবলিত জেলার মানুষের জন্য ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ

426

ঢাকা, ১৫ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মোকাবেলায় বন্যা কবলিত জেলার মানুষের জন্য প্রায় ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সোমবার ১ কোটি ২৩ লাখ, ১১ জুলাই ১ কোটি ২০ লাখ এবং ৭ জুলাই ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এছাড়াও আজ ১৫ জুলাই ৭০ হাজার মেট্রেকটন চাল, ১ জুলাই ২৫ জেলায় ৫৯ হাজার, ১২ জুলাই ২০ হাজার মেট্রেকটন চাল এবং ১৪ জুলাই ১৫ জেলায় সাড়ে ৭ হাজার সেট তাবু বরাদ্দ করা হয়েছে।
এর মধ্যে চট্টগ্রামে ১৩ লাখ, বান্দরবনে ৭ লাখ ৫০ হাজার, খাগড়াছড়ি ৩ লাখ, রাঙ্গামাটি ৮ লাখ, কক্সবাজার ৮ লাখ, লালমনিরহাটে ৭ লাখ ৫০ হাজার, নীলফামারী ৭ লাখ ৫০ হাজার, সুনামগঞ্জ ১৩ লাখ, নেত্রকোনা ৮ লাখ, সিলেট ৮ লাখ, গাইবান্ধায় ৭ লাখ ৫০ হাজার, মৌলভীবাজার ৭ লাখ ৫০ হাজার, হবিগঞ্জ ৮ লাখ, ফেনীতে ৭ লাখ ৫০ হাজার এবং কুড়িগ্রামে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সোমবার ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) এর দুর্যোগ সংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনে এক তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়াও চট্টগ্রামে ৫০০ মেট্রিকটন চাল ২ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার ও ৫০০ সেট তাঁবু, বান্দরবনে ৪৫০ মেট্রিকটন চাল ২ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার ও ৫০০ সেট তাবু, খাগড়াছড়ি ২০০ মেট্রিকটন চাল, রাঙ্গামাটি ৫০০ মেট্রিকটন চাল, ২ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার ও ৫০০ তাঁবু, কক্সবাজার ৫০০ মেট্রিকটন চাল, ৪ হাজার কার্টুন খাবার ও ৫০০ সেট তাঁবু, লালমনিরহাটে ৪৫০ মেট্রিকটন চাল, ৪ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার ও ৫০০ তাঁবু, নীলফামালীতে ৪৫০ মেট্রিকটন চাল, ৪ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার ও ৫০০ সেট তাঁবু, সুনামগঞ্জে ৫০০ মেট্রিকটন চাল, ৭ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার ও ৫০০ সেট তাঁবু, নেত্রকোনাতে ৫০০ মেট্রিকটন চাল, ৪ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার ও ৫০০ সেট তাঁবু, সিলেটে ৫০০ মেট্রেকটন চাল, ২ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার ও ৫০০ সেট তাঁবু, বগুড়াতে ৫০০ মেট্রিকটন চাল, ২ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার ও ৫০০ সেট তাঁবু, গাইবান্ধাতে ৪৫০ মেট্রিকটন চাল, ২ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার ও ৫০০ সেট তাঁবু, মৌলভীবাজারে ৪৫০ মেট্রিকটন চাল, ২ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার, হবিগঞ্জে সিলেটে ৫০০ মেট্রিকটন চাল, ফেনীতে ৪৫০ মেট্রিকটন চাল, ৪ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার এবং কুড়িগ্রামে ২২০ মেট্রিকটন চাল, ২ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার ও ৫০০ সেট তাঁবু বরাদ্দ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, বান্দরবনে ১৩১ টি, লালমনির হাটে ১২ টি, সিলেটে ৮০ টি গাইবান্ধায় ৯৫ টি, হবিগঞ্জে ১ টি ও কুড়িগ্রামে ২১ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম মহানগরীতে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী প্রায় ৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গঠিত হেলথ ইসার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারি পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বাসসকে জানান, দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মোকাবেলায় বন্যা কবলিত জেলার মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ১ হাজার ৩৬৮ টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের জন্য ১ হাজার ১৮৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বন্যাকালীন ও পরবর্তী সময়ের প্রস্তুতির বিষয়ে আয়শা আক্তার বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল জেলা এবং উপজেলার মেডিকেল সাব-ডিপো ও জেলা রিজার্ভ স্টোরগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইভি ফ্লুইড (শিরায় দেয়ার স্যালাইন), খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি, হার্টম্যান’স স্যালাইন, এন্টিবায়োটিক, এন্টি স্নেক ভেনম ও অন্যান্য ঔষধ মজুদ আছে। এছাড়াও সিএমএসডিতে ২০% অতিরিক্ত ঔষধ মজুদ আছে বলেও জানান তিনি।