বাসস দেশ-৩২ : সিলেটে পর্যটক ভ্রমণে সতর্কতা, পার্বত্যে প্রত্যাহার

285

বাসস দেশ-৩২
সিলেট-পর্যটক-সতর্কতা
সিলেটে পর্যটক ভ্রমণে সতর্কতা, পার্বত্যে প্রত্যাহার
সিলেট, ১৩ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : সিলেটের পর্যটন এলাকা কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, বিছানাকান্দি ও গোয়াইনঘাটের জাফলং এলাকায় পর্যটকদের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্যার কারণে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব এলাকায় দুর্ঘটনার আশংকা করছে প্রশাসন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী ও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল।
বিজেন ব্যানার্জী বাসসকে বলেন, যেহেতু প্রায়ই পাহাড়ি ঢল নামছে, একইসঙ্গে এ অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আপাতত ভোলাগঞ্জ ও বিছানাকান্দিতে সবাইকে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
এদিকে, ভোলাগঞ্জ কোয়ারিতে পাথর সংগ্রহ করতে গিয়ে শুক্রবার রাতে বন্যার পানিতে হেলাল উদ্দিন নামের এক পাথর শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। তিনি উপজেলার মধ্যম রাজনগর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র। তার সন্ধান এখনও মিলেনি বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তাজুল ইসলাম।
গত তিনদিনে সিলেট অঞ্চলে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জের অন্তত ১৫টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। অধিকাংশ নদনদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবেশমুখে যথাক্রমে ১৫৯ সেন্টিমিটার ও ১৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ জানান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণে জেলা প্রশাসন সতর্কতা আজ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ায় পাহাড় ধস ও বন্যার আশঙ্কায় খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির সাজেকসহ পার্বত্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করা হয়েছিলো।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘খাগড়াছড়ি সদরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে উপজেলা পর্যায়ে কিছু কিছু এলাকায় এখনও পানি রয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দুই দিনের সাময়িক সতর্কতা রোববার থেকে আর থাকছে না।’
তিনি বলেন, পুরো জেলায় ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে তিন হাজারের মত লোক আশ্রয় নিয়েছিলেন। আজ-কালের মধ্যে অনেকগুলো কেন্দ্র থেকে লোকজন নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। বর্তমানে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ৭-৮শ জন লোক রয়েছেন। তাদেরকে জেলা প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ-সমাগ্রী দেয়া হচ্ছে।
বাসস/সংবাদাতা/২০৪০/-একেএইচ