‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই সর্বোত্তম স্থান : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

354

ঢাকা, ১০ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই সর্বোত্তম স্থান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুজিব বর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের স্থান নির্ধারণের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত সভায় ও উদ্যান পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের একথা জানিয়ে বলেন, আজকের সভার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাম প্রস্তাব করা হবে। তবে বিকল্প হিসেবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা এবং আবহাওয়া বৈরী হলে তৃতীয় বিকল্প হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বা অন্য কোন উপযুক্ত স্থানের নাম প্রস্তাব করা হবে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের স্থান নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন, এলক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের উদবোধন অনুষ্ঠানের স্থান হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাম চূড়ান্ত হলে এটিকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করা হবে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চের পূর্বে এখানের সকল উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, কোনো উন্নয়ন কাজ অবশিষ্ট থাকলে তা স্থগিত করে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য স্থানটিকে উপযুক্ত করা হবে। বিদেশী গুরুত্বপূর্ণ আমন্ত্রিত অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিদের নিরাপত্তাসহ বসার আসনের ব্যবস্থা করা হবে। এ উপলক্ষে নির্মিত বিশেষ মঞ্চে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের সুবিধা রাখা হবে।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের উদবোধনী অনুষ্ঠানের জন্য ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই সর্বোত্তম স্থান। এর কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, এখানেই জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়। বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পিছনের সবচেয়ে প্রেরণাদায়ী ৭ মার্চের ভাষণটিও তিনি এই উদ্যানেই প্রদান করেছিলেন। আবার বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসের প্রধান ঘটনা ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানটিও ঐতিহাসিক এই উদ্যান উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘকাল পাকিস্তাানের কারাগারে আটক থাকার পর এই উদ্যানেই স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা এক আবেক মথিত স্বদেশ ১০ জানুয়ারি প্রত্যাবর্তন দিবসে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেছিলেন। এই উদ্যানেই ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী প্রিয়দর্শিনী ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় বাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাঙালি, বাংলাদেশ ও জাতির পিতা সকলের কাছেই এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই সবচেয়ে ইতিহাস ঘনিষ্ঠ।
সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ এমপি, বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে গঠিত বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম আরিফুর রহমান, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লাহ খন্দকারসহ বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে গঠিত জাতীয় ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন সরকারি কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।