বাসস দেশ-৩৪ : জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে

297

বাসস দেশ-৩৪
আইইবি-সেমিনারে
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে
ঢাকা, ১০ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)-এর কৃষিকৌশল বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, নদী ভাঙ্গণের কারণেই উপকূলীবর্তী অঞ্চলগুলোতে লবণাক্ততা বাড়ছে। মিঠা পানির অভাবে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ধান চাষ কমে যাচ্ছে। অনেক কৃষক ধানের বদলে চিংড়ি অথবা সামুদ্রিক মাছ চাষ করছে।
আজ বুধবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর কৃষিকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের লবণাক্ত উপকূলীয় অঞ্চলের মাটির উপরিভাগে চাষ যোগ্য ফসলের জন্য পানি সংরক্ষণের সেচ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও অভিযোজন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকার খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই কৃষি উন্নয়নের নিশ্চিত করে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য বদ্ধপরিকর জানিয়ে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এখন মানবসভ্যতার প্রতি বিশ্বের অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর বাংলাদেশ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সর্বোচ্চ ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর একটি। বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপকুলীয়ু নিচু এলাকাগুলো। সেসব এলকায় সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে লোনা পানি বেড়ে যাচ্ছে। তারা বলেন, উপকুলীয়ু অঞ্চলে মিঠা পানি কমে যাওয়ায় অনেকে বাধ্য হচ্ছে কৃষিতে পরিবর্তন আনতে। তবে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে এখন লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে এমন প্রজাতির ধান চাষ করছে, অনেকে ধান ছেড়ে চিংড়ি চাষ করছে, কোথাও বা বৃষ্টির পানি ধরে রাখা হচ্ছে। তাঁরা পরিবেশের সাথে মানিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে আইইবি কৃষিকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম মিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে আইইবি’র প্রেসিডেন্ট এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পরিচালক সদস্য (এনআরএম) ড. প্রকৌশলী সুলতান আহম্মেদ, আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিএআরআই-এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. প্রকৌশলী খোকন কুমার সরকার।
বক্তারা আরো বলেন, উপকূলীয় লবনাক্ত এলাকার উপযোগী ফসলের জাত গবেষণার জন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমুহ কাজ করে যাচ্ছে। পাশপাশি লবনাক্ত পানি চাষের অনুপযোগী হওয়ায় উপকূলীয় এলাকায় সিমীত আকারে প্রাপ্ত ভূ-পৃষ্ঠস্থ ও বৃষ্টির সাধুপানি সংরক্ষণ করে আধুরিক কলাকৌশলের মাধ্যমে, ড্রিপ, শাওয়ার সেচ, সেচ পদ্ধতি অনুসরণ করা পূর্বক শস্য উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।
বাসস/সবি/বিকেডি/২০২০/কেএমকে