বাসস দেশ-৩০ : মধ্য ও নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য বিএইচবিএফসি-এর আবাসন পরিকল্পনা

549

বাসস দেশ-৩০
বিএইচবিএফসি-হাউজিং
মধ্য ও নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য বিএইচবিএফসি-এর আবাসন পরিকল্পনা
ঢাকা, ৬ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফিন্যান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি) আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘রেন্ট টু বাই’ মেথডের আওতায় মধ্য ও নিম্ন আয়ের লোকদের জন্যে বসত নির্মাণের পরিকল্পনা নিচ্ছে।
বিএইচবিএফসি-এর মহাপরিচালক দেবাশীষ চক্রবর্তী বাসসকে বলেন,‘আমরা ডেভেলপারের মাধ্যমে খাস জমির ওপর বাড়ি নির্মাণ করবো। এসব বাড়ি ‘ রেন্ট টু বাই ’মেথডে বরাদ্দ দেয়া হবে এবং নিম্ন ও মধ্য আয়ের লোকদের এতে প্রাধান্য দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, বিএইচবিএফসি ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন শহরের বাইরে এসব বাড়ি নির্মাণ করবে। সচরাচর ডেভেলপাররা যেসব জায়গায় ভবন নির্মাণ করতে যায় না। তিনি জানান, তারা প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার-৭’- এর আওতায় এধরণের বিশেষ কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়েছেন। এটি এখন ক্যাবিনেটে অনুমোদনের অপেক্ষায়। অনুমোদনের পর ডেভেলপারদের দরপত্র আহ্বান করা হবে। দেশি ও বিদেশী ডেভেলপাররা দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে। তারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব বাড়ি নির্মাণ করবে। বিএইচবিএফসি-এর মহাপরিচালক বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে এমন ডেভেলপার বাছাই করা হলে তাদের পক্ষে স্ব^ল্প ব্যয়ে টেকসই বাড়ি নির্মাণ করা সম্ভব হবে।
প্রচলিত মেথডে স্থানীয় ডেভেলপাররা যেখানে দীর্ঘ সময় নিয়ে কাজ করে থাকেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেখানে তারা এক বছরেই বাড়ি নির্মাণে সক্ষম হবেন।
তিনি জানান, উন্নত দেশগুলোতে ভবন নির্মাণে ‘ফাস্ট-ট্রাক কনস্ট্রাকশন’ মেথড ব্যবহার করা হয়, তাতে নির্মাণ খরচ যেমন কম হয় সেই সঙ্গে সময়ও বাঁচে। দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, পরিবেশ বান্ধব এসব বাড়ির নির্মাণ ব্যয় কম হওয়ায় এসব বাড়ি জনপ্রিয় হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা খাস জমিতে এসব বাড়ি নির্মাণ করবো এবং সেখানে স্যানিটেশন ও পয়নিস্কাশনসহ সব ধরনের সুবিধাদি থাকবে। আমরা ‘রেন্ট টু বাই’ মেথডে এসব বাড়ি বরাদ্দ দেব। অর্থাৎ এসব বাড়ির বাসিন্দারা ভাড়া দেবে এবং একটা বিশেষ সময় অতিক্রান্তের পর তারা মালিকানা বুঝে নেবে’ বলে তিনি জানান।
মহাপরিচালক জানান, বিএইচ বিএফসি সব শ্রেণির লোকের জন্য সাত ধরনের পণ্যের অফার দিবে। সেগুলো হলো, নগর বন্ধু, ফ্ল্যাট লোন, পল্লী মা, আবাসন উন্নয়ন ঋণ, আবাসন মেরামত ঋণ, প্রবাস বন্ধু ও কৃষক আবাসন ঋণ। দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, এক ব্যক্তি ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা ও অন্যান্য এলাকায় সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। তবে ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় এক কোটির পরিবর্তে ২ কোটি টাকা করার একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে স্বীকৃতির অপেক্ষায় আছে। তিনি জানান, বিএইচবিএফসি এখন ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য ৯ শতাংশ ও অন্যান্য এলাকার জন্য আট দশমিক পাঁচ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়ে থাকে।
তবে বিএইচবিএফসি শতকরা আট ভাগ সুদে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে ঋণ প্রদান করতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রো. এলাকার বাইরে যে নতুন রেট ধরা হয়েছে, তা ১ জুলাই থেকে কার্যকর করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাসস/অনু-জেজেড/২১৫০/কেএমকে